শ্রীচৈতন্যদেবের জন্ম কবে হয়? বাংলা সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রভাব আলোচনা করো।

  বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব :-একাদশ শ্রেণীর বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ থেকে mcq ও রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে, এছাড়াও স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও মধ্যযুগের ইতিহাস থেকে নানান প্রশ্ন। এ ছাড়াও অনেকে খুঁজে চলেছো- বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব , বাংলা মধ্যযুগের সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব আলোচনা করো, চৈতন্যদেবের জীবনী, চৈতন্য দেবের বাণী, বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের গুরুত্ব বাঙালি সংস্কৃতি ও চৈতন্যদেব প্রভৃতি । সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা আজকে এই কনটেন্ট আপলোড করলাম ।

■ বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মধ্যযুগের বাংলা সমাজ ও সাহিত্যের প্রধান ধারা থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে। তাই অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ার পর আমাদের দেওয়া  ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন ও উত্তর পড়বে। এতে অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হবে। আমাদের পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই তোমরা বন্ধুদের শেয়ার করবে।


চৈতন্যদেবের জন্ম কবে?

বাংলা সাহিত্যে
চৈতন্যদেবের প্রভাব 

আলোচনা করো।


Ans : জন্ম পরিচয় : ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেব নবদ্বীপে জন্মগ্রহন করেন। পিতা ছিলেন জগন্নাথ মিশ্র এবং  মাতা শচীদেবী। গৌরকান্তি সর্বাঙ্গসুন্দর এই শিশুর নাম রাখা হয়েছিল শ্রীগৌরাঙ্গ। তাঁকে গৌর বলেও ডাকা হত , শচীমা ডাকতেন নিমাই বলে।

বাংলা সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রভাব :  
 
১.ভক্তিধর্মের প্রসার ও বৈষ্ণবদর্শনের উপস্থাপন : শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তিধর্মের প্রসার ঘটালেন।  তাঁর মতাদর্শ , আবেগ, বক্তব্য , নির্দেশাবলী অবলম্বনে রচিত হল বৈষ্ণবদর্শন। 

২.অনুবাদ সাহিত্যে প্রভাব : চৈতন্য-উত্তরযুগে রচিত রামায়ণ , মহাভারত ও ভাগবতের চরিত্রগুলি বিবর্তিত হল। বিশেষকরে শ্রীরামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের ঐশ্বর্য প্রেম অপেক্ষা মাধুর্য প্রেমে প্রকাশিত হল। 

৩.মঙ্গলকাব্যের দেবদেবী চরিত্রের বিবর্তন : প্রাক-চৈতন্যযুগে দেবদেবীরা ছিলেন একপ্রকার স্বেচ্ছাচারী। শ্রীচৈতন্যের ভক্তিধর্মের প্রভাবে মঙ্গলকাব্যের দেবদেবীরা শান্ত, কোমলস্বভাবের চরিত্রে বিবর্তিত হলেন। 
৪.শ্রীচৈতন্য জীবনীবিষয়ক গ্রন্থ : শ্রীচৈতন্যদেবকে অবলম্বন করে বাংলায় রচিত হল জীবনীগ্রন্থ। বৃন্দাবন দাস, লোচন দাস , জয়ানন্দ , কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রমুখ কবিরা জীবনীগ্রন্থের মাধ্যমে মহাপ্রভুকে বরণ করে নিলেন। 

৫.গৌরচন্দ্রিকার অভিনব সৃজন : রাধাকৃষ্ণ প্রেমলীলার সমান্তরালে গৌরলীলা অবলম্বনে রচিত হল গৌরচন্দ্রিকা। এগুলি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। 

৬.পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যের প্রভাব: শুধু মধ্যযুগের কবিরা নন , উনিশ শতকের কবিরাও শ্রীচৈতন্যকে অবলম্বন করে লিখেছেন কাব্য-কবিতা। এ প্রসঙ্গে নবীনচন্দ্র সেনের 'অমৃতা কাব্য' উল্লেখযোগ্য। শ্রীচৈতন্যদেবকে অবলম্বন করে নাট্যকাররা লিখেছেন অসাধারণ সব নাটক। গিসিশচন্দ্র ঘোষের 'চৈতন্যলীলা' এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রচিত হয়েছে সরল গদ্যে শ্রীচৈতন্য জীবনকাহিনী। এমনকি শিশির কুমার ঘোষের 'অমিয় নিমাই চরিত' গ্রন্থটি এ প্রসঙ্গে স্মরণীয়। 

আরো পড়ো .....
 

Post a Comment

1 Comments