নদীর বিভিন্ন কাজ||ব্যাখ্যামূলক ও রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ||MADHYAMIK 2022

 নদীর বিভিন্ন কাজ অধ্যায়ের সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তরগুলি আলোচনা করা হলো। MADHYAMIK 2022সালের পরীক্ষার প্রস্তুতি 

সংক্ষিপ প্রশ্ন ও উত্তর                            মান-2

1- আদর্শ নদী বলতে কী বোঝায়?

 উত্তর- যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য প্রধান উচ্চগতি, বহন কার্য প্রধান মধ্যবর্তী এবং সঞ্চয় কার্য প্রধান নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায় তাকেই আদর্শ নদী বলে। যেমন- ভারতের গঙ্গা ।

2-উপনদী ও শাখা নদী কাকে বলে?

উত্তর- একটি প্রধান নদীর প্রবাহপথে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ছোট নদী এসে নদীতে মিলিত হয় এগুলিকে প্রধান নদীর উপনদী বলে। যেমন- যমুনা ,ঘর্ঘরা ,গণ্ডক ইত্যাদি।

 আবার একটি প্রধান নদী থেকে যেসকল নদী উৎপন্ন হয়ে  জলাশয় বা সাগরে এসে মিলিত হয় সেগুলিকে শাখা নদী বলে। যেমন ভাগীরথী গঙ্গা একটি শাখা নদী।

3- অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর:-মূল নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদী যে অঞ্চলের জল গ্রহণ করে এবং তা বহন করে, সেই সমগ্র অঞ্চলকে বলে মূল নদীর অববাহিকা।

4- জলবিভাজিকা কাকে বলে?


উত্তর:- যে উচ্চভূমি পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকাকে পৃথক করে রাখে, তাকে বলে সেই দুটি নদীর ব্যবস্থার মধ্যবর্তী জলবিভাজিকা। যেমন বিন্দ্য পর্বতের উত্তরে গঙ্গা নদী নর্মদা নদীর মধ্যবর্তী জলবিভাজিকা।


5- নদীর ধারণ অববাহিকা বলতে কী বোঝো?

উত্তর:- নদীর উচ্চ গতিতে  বা পার্বত্য প্রবাহের সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধারা নিয়ে একটি প্রধান নদী গঠিত হয়, এরকম একটি মূল এবং তার উপনদী ও শাখানদী দ্বারা বিধৌত অঞ্চলই হলো সেই নদীর ধারণ অববাহিকা।

6- নদীর কাজ কয় প্রকার ও কি কি?

 উত্তর -উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর গতিপথে তিন প্রকার কাজের পরিচয় পাওয়া যায়। যথা-ক্ষয়কাজ, বহন কাজ ও সঞ্চয় কাজ।

 7-নদী উপত্যকা কাকে বলে?

 উত্তর -উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত  যে সুদীর্ঘ খাতের মধ্য দিয়ে কোন নদী তার ক্ষয়জাতো পদার্থসমূহ বহন করে নিয়ে যায় ,তাকে সেই নদীর উপত্যকা বলে।

8- নদীর ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র কী?

 উত্তর -কোনো নদীর শক্তির উপর তার বহন ক্ষমতা নির্ভর করে ,আবার নদীর শক্তি নির্ভর করে সেই নদীর গতিপথের ঢাল, জলের গতিবেগ, জলের পরিমাণ, কক্ষপথের আকৃতি ও পরিমাণের উপর ।দেখা গেছে যে কোন নদীর জলের পরিমাণ যত দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় তার বহন ক্ষমতা তত বেশি বৃদ্ধি পায়। তাহলে তার বহনক্ষমতা হবে 64 গুন বৃদ্ধি পায় ।একেই বলে নদীর ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র।

9- গিরিখাত কাকে বলে?

 উত্তর- বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধস যদি বেশি থাকে এবং নদীতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে নদীতে জলের গতিবেগ বৃদ্ধি পায় ফলে নদীর ক্ষয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় ।নদীবাহিত পদার্থসমূহ যখন নিম্নক্ষয় অপেক্ষা পার্শ্ব ক্ষয় অধিক করে ,তখন V আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি করে একেই গিরিখাত বলে ।

10-অনুগামী নদী ও পূর্ববর্তী নদী কাকে বলে?

উত্তর:- অনুকূলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রবাহিত নদী গুলিকে অনুগামী নদী বলে ।যেমন ভারতের গোদাবরী কৃষ্ণা প্রভৃতি।
 আবার ভূমির উত্থান এর সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে যে নদী তার পূর্বের প্রবাহপথ বজায় রাখে তাকে পূর্ববর্তী নদী বলে ।যেমন সিন্ধু নদী।

 11-জলপ্রপাত কাকে বলে?


উত্তর- নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর গতিপথ পরিবর্তিত হলে নদী প্রবল বেগে উপর থেকে নিচের দিকে আছড়ে পরে,এরূপ ভূমিরূপকে জলপ্রপাত বলা হয় ।

12-মন্থকূপ কাকে বলে ?

উত্তর-পার্বত্য অঞ্চলে নদীবাহিত নুড়ি-পাথর ইত্যাদি জলের সাথে পাক খেতে খেতে এগিয়ে যায় এভাবে নদীর তলদেশে অনেক সময় ছোট ছোট গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয়, এগুলোকে মন্থকূপ বলে।

13- পললশঙ্কু কাকে বলে?

 উত্তর- পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী পর্বতের পাদদেশে পৌঁছলে নদীর গতিপথে ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় তাই নদীবাহিত বালি, পলি, নুড়ি প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি  করে, তাকে পলল শঙ্কু বলে। যেমন শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে।

14- খাড়ি কী?

উত্তর:- নদীর প্রবাহ পথের শেষে যেখানে সাগরে মিলিত হয় সেখানে সৃষ্ট ফানেল আকৃতির নদী মোহনাকে খাড়ি বলে। যেমন -সুন্দরবনের মাতলা ভৈরবী বিদ্যাধরী প্রভৃতি।

15- জলচক্র বলতে কী বোঝো ?

উত্তর -ভৌত অবস্থায় জলের বিভিন্ন রূপ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বারিমন্ডল, শিলামন্ডল ও বায়ুমণ্ডলের পরিমানগত যে সমতা বজায় থাকে তাকেই জলচক্র বলে

■     নদীর বিভিন্ন কাজ||ব্যাখ্যামূলক ও রচণাধর্মী প্রশ্ন                                                               মান-3

1- জলপ্রপাতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো ।

জলপ্রপাতের উৎপত্তি:-  নদীর গতিপথে জল সরাসরি উপর থেকে নিচে পতিত হলে তাকে জলপ্রপাত বলা হয়।

জলপ্রপাতের সৃষ্টির কারণঃ- জলপ্রপাত সৃষ্টির বিভিন্ন কারণগুলি হল -

কঠিন অবস্থা নদীপথে কঠিন ও কোমল শিলা অবস্থান করলে কোমল শিলাবেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং খাড়া ঢাল এর সৃষ্টি হয়। এই ঢাল বেয়ে  জল নিচে পড়লে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।যেমন -নায়াগ্রা জলপ্রপাত সৃষ্টি ।

চ্যুতির সৃষ্টি:- নদীবক্ষে যখন চ্যুতির সৃষ্টি হয় তখন জলরাশি খাড়া ঢাল বেয়ে নিচে পড়লে জলপ্রপাতের উৎপত্তি ঘটে। যেমন জাম্বেসি জলপ্রপাত মালভূমির খাড়া প্রান্তীয় অংশ।

 মালভূমির খাড়া প্রান্তভাগঃ- যেখানে নদী খারাপ ভাবে পড়তে থাকে সেখানেও জলপ্রপাতের উৎপত্তি ঘটে ।যেমন -হুড্রু জলপ্রপাত ।

ঝুলন্ত উপত্যকা:- হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয় এর মধ্য দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হয় তখন জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।


2- সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন?

 কারনঃ- সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গঠিত হয় না বিভিন্ন কারণে ।এই কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল -

যথা -নদীর প্রবল গতিবেগঃ- যে সমস্ত নদীর মোহনায় নদীর গতিবেগ বেশি থাকে সেখানে নদীবাহিত পলি সমুদ্রের বহু দূরে চলে যায় ফলে সেইসব মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না ।
নদীর দৈর্ঘ্যঃ- নদী দৈর্ঘ্য হলে নদীবাহিত পদার্থের পরিমাণ কম হয় ।নদীর দৈর্ঘ্য বেশি হলে নদীর বোঝা নদীতে যদি পলি বালিকাদের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ব-দ্বীপ গঠিত হয় না ।
দুর্বল শক্তি:- নদীর ক্ষয়কারি শক্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে নদীতে পলির অভাবের কারণে বদ্বীপ গড়ে ওঠে না। বায়ুপ্রবাহ অভিমুখে বায়ুপ্রবাহের দ্রুত চলতে থাকলে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়।
 

3- পলল শঙ্কু ও বদ্বীপ এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।

 পার্থক্যঃ- পলল শঙ্কু ও বদ্বীপ এর মধ্যে কতগুলি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন-

 সংজ্ঞাগতঃ- পর্বতের পাদদেশে নদীবাহিত পলি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে তাকে  পলল শঙ্কু বলে। আবার নদীর মোহনাতে নদীবাহিত পদার্থসমূহ সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে বদ্বীপ বলে ।

আকৃতি:- পললশঙ্কু  দেখতে  শঙ্কু আকৃতির হয়।  কিন্তু ব-দ্বীপ দেখতে বাংলা অক্ষরের মত হয়।

 অবস্থান:- পর্বতের পাদদেশে পলল শঙ্কু দেখা যায় ।কিন্তু নদীর মোহনায় বদ্বীপ দেখা যায় ।


 4-গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।

 গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্যঃ- এই দুই ধরনের ভূমিরূপের মধ্যে কতকগুলো পার্থক্য লক্ষ্য  করা যায় ।যেমন -

উৎপত্তি:- নদীর উচ্চ গতিতে বা পার্বত্য প্রবাহে  গিরিখাত সৃষ্টি হয়। কিন্তু পৃথিবীর মরুপ্রায় অঞ্চলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয়।

আকৃতি:- গিরিখাত এর আকৃতি ইংরেজি'V' বর্ণের মতো হয়। কিন্তু ক্যানিয়ন এর আকৃতি ইংরেজি 'I' অক্ষরের মতো হয় ।

ক্ষয় কাজ:- নিম্নক্ষয় অপেক্ষা পার্শ্ব ক্ষয় বেশি হয় ।কিন্তু ক্যানিয়নের ক্ষেত্রে পার্শ্ব ক্ষয় অপেক্ষায় নিম্নক্ষয় বেশী ।

  নদীখাতঃ- অপেক্ষাকৃত কম সংকীর্ণ হয় কিন্তু ক্যানিয়ন গভীর ও খুবই সংকীর্ণ হয়।

 উপনদীর সংখ্যা:- গিরিখাতের থেকে কিছু উপনদী এসে মিলিত হয় কিন্তু ক্যানিয়ন শুষ্ক অঞ্চলে দেখা যায় তাই কোনো উপনদী এসে মিলিত হয় না।


5-'I' আকৃতির উপত্যকা এবং 'V' আকৃতির উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

 পার্থক্যঃ- এই দুই ধরনের উপত্যকার মধ্যে কতগুলি বিষয় এর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।যেমন-

 উৎপত্তি:- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর  নিম্ন ক্ষয়ের মাধ্যমে 'I' আকৃতির নদী উপত্যকা সৃষ্টি হয়। আবার পার্বত্য অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয় যুক্ত হলে 'V' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়।

আকৃতি:- ইংরেজি 'I' এর  মত হয় । কিন্তু আকৃতি 'V'এর মতো হয়।

গভীরতা:- আই আকৃতির নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর হয়। আবার ভি আকৃতির নদী উপত্যকার গভীরতা তুলনামূলকভাবে কম হয়।

নামকরণ:- মরু অঞ্চলে আকৃতির নদী উপত্যকা ক্যানিয়ন বলে আবার ভি আকৃতির উপত্যকা যখন সংকীর্ণ ও গভীর হয়, তাকে গিরিখাত বলে ।উদাহরণ -মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন।

নদীর বিভিন্ন কাজ||ব্যাখ্যামূলক ও রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ||MADHYAMIK 2022             মান-5

1- নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ চিত্রসহ বর্ণনা করো।

নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ :-পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয় কাজ মূলত সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় ।এই ক্ষয় কার্যের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপ গড়ে ওঠে। যেমন- 'V' আকৃতির উপত্যকা , গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রবাহ প্রপাতকূপ, আবদ্ধ শৈলশিরা প্রভৃতি। তবে মূলত তিনটি ভূমিরূপ নিম্নে আলোচনা করা হল-

জলপ্রপাত :- নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হলে নদীর জল প্রবল বেগে নিচে পড়তে থাকে একে জলপ্রপাত বলা হয়।

 উৎপত্তি:- (এক) নদীর গতিপথে পর্যায়ক্রমে কঠিন ও কোমল শিলা অবস্থান  করলে ক্ষয় কার্যের ফলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

( দুই) মালভূমি যেখানে সমভূমির সঙ্গে মিলিত হয় সেখানে বৈষম্যমূলক ঢালের জন্য জলপ্রপাতে উদ্ভব হয় ।

(তিন) হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে যে ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয় তার মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে জলপ্রপাত গড়ে ওঠে ।উদাহরণ দক্ষিণ আমেরিকার ভেনেজুয়েলার এঞ্জেল জলপ্রপাত, নায়াগ্রা জলপ্রপাত প্রভৃতি।

 

 গিরিখাত ও ক্যানিয়ন:- পার্বত্য অঞ্চলের নদী উপত্যকার আকৃতি "V" ধারণ করলে তাকে গিরিখাত বলে। আবার শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত নদী উপত্যকা ইংরেজি "I" বিশিষ্ট হয় ।

উৎপত্তি:- (এক) নদীর নিম্ন পার্শ্ব ক্ষয়ের ফলে "I" উপত্যকা এবং "V"- আকৃতির গিরিখাত সৃষ্টি হয়।

(দুই) পার্শ্ব ক্ষয় অপেক্ষা নদীর নিম্ন ক্ষয় বেশি হওয়ায় উপত্যকা আরও গভীর হয়ে "I" আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি করে ।উদাহরণ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

 মন্থকূপঃ- নদীর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট ছোট ছোট বেলুন আকৃতি গোলাকার ভূমিরূপগুলিকে মন্থকূপ বলে ।

উৎপত্তি- অসমান গতিপথের জন্য নদীর জল এবং নদীবাহিত নুড়ি পাথর প্রভৃতি পাক খেতে খেতে এগিয়ে যায় ।এর ফলে নদীর তলদেশে অসংখ্য ছোটো ছোটো গর্ত সৃষ্টি হয় ।এই গর্ত গুলোকে বলা হয় মন্থকূপ ।উদাহরণ-ঝাড়খন্ডের সরাইকেলার কাছে  খরকাই নদীতে মন্থকূপ দেখা যায়। 



2- নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ গুলির পরিচয় দাও ।

উত্তরঃ- মধ্য গতিতে নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ হল-

 পলল ব্যজনী:- নদীর মধ্যগতি নদীবাহিত ছোট বড় পাথর নুরী বালিকা গাধা প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয় তালের হাতপাখার আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে তাকে পলোল ব্যজনী বলে ।

উৎপত্তি:- পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে নামার পর নদীর বহন ক্ষমতা ও স্রোতের বেগ কমে যায়। এর ফলে পাথর নুরি বালি প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত করে তিনকোনা ভূমি ভাগ গড়ে উঠে ।
উদাহরণঃ হিমালয়ের পাদদেশে পলল ব্যজনী দেখা যায়। 


নদী বাঁকঃ- মধ্য  ও নিম্নগতিতে নদীর প্রবাহপথে আঁকা-বাকা নদীবাক দেখা যায় ।

উৎপত্তি:- মধ্য  ও নিম্নগতিতে নদীর  বোঝার পরিমাণ বৃদ্ধি  হয় গতিবেগ ও  কার্যক্ষমতা হ্রাসের কারণে। নদী তার প্রবাহ পথে কোন বাধা বা কঠিন শিলার সম্মুখীন হলে তাকে ক্ষয় না করে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়ে যে বাক সৃষ্টি করে তাকে নদীবাঁক বলে। উদাহরণ- পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী ও জলঙ্গি নদী।

 অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদঃ- নদীর মধ্যগতিতে  অনেক সময় নদী বাঁক এর মাঝের অংশ , মূল বাঁক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘোড়ার ক্ষুরের আকৃতির যে ভূমিরূপ গড়ে উঠে,তাকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

উৎপত্তি:- দুটিবাক যখন খুব কাছাকাছি চলে আসে তখন মাঝের অংশকে প্রাপ্ত হতে থাকে এভাবে ক্রমশ প্রতিভাকে মধ্যবর্তী ব্যবধান বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং সেখানে পলি বালিকাদ্বয় প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ এর আকার ধারণ করে মূলত নদী তখন সোজা পথে প্রবাহিত হয়।

                               ------
2022 সালের ভূগোল  সাজেশন পেতে CLICK HERE 👉
 
 ইতিহাস  সাজেশন পেতে CLICK HERE 👉(HISTORY SUGGESTIONS)

বি:দ্রঃ- Wbbse যে Reduce সিলেবাস ঘোষণা করেছে , তাতে প্রাকৃতিক ভূগোলঃ এর একটা অধ্যায় রাখা হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় একক - নদীর বিভিন্ন  কাজ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। 

Post a Comment

0 Comments