চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন?

চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন?
চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন?

পড়া শোনাHello, আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী তোমরা ইতিমধ্যে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছো। তোমাদের অনেকেরই ধারণা নেই কোন প্রশ্নটি পরীক্ষায় আসবে? কোন প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ? তাই তোমাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন? উত্তর তুলে ধরলাম।


এবছর একাদশ শ্রেণীর প্রশ্নপত্র নিজ নিজ বিদ্যালয় তৈরি করবে। ফলে বাড়তি একটা চাপ শিক্ষার্থীদের রয়েছে। তাই আমাদের দেওয়া প্রশ্ন-উত্তরগুলি অনুশীলন করলে তোমরা অবশ্যই পরীক্ষায় কমন পাবে। তোমাদের সাফল্যই আমাদের পরিশ্রমকে সার্থক করবে।





বিষয়ইতিহাস 
শ্রেণীXI
অধ্যায়দ্বিতীয় 
বোর্ডWBCHSE 
প্রশ্নরচনাধর্মী 


একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস|| দ্বিতীয় অধ্যায়|| বড় প্রশ্ন উত্তর 


প্রশ্ন- চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন? 4+4


                        উত্তর




ভূমিকা:- খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ নাগাদ আদিম মানুষ নানান অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে সভ্যতার পথে এগিয়ে চলছিল। কালক্রমে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে তারা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। যা 'নদীমাতৃক সভ্যতা' নামে পরিচিত। যেমন-সিন্ধুনদের তীরে হরপ্পা সভ্যতা, নীলনদের তীরে মিশরীয় সভ্যতা, টাইগ্রিস- ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে সুমেরিও সভ্যতা, ইয়াংসি-কিয়াং ও হোয়াংহো নদীর তীরে 'চৈনিক সভ্যতা' প্রভৃতি। এই নদী সভ্যতাগুলির মধ্যে মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা সবচেয়ে প্রাচীন।


নদীর তীরে বিকাশের কারণ:- অধিকাংশ সভ্যতা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠার নানান কারণ ছিল  যেমন-


ফসল উৎপাদনের সুবিধা:- বর্ষাকালে নদীতে প্লাবন দেখা দিত। ফলে নদীর উভয় তীরে পলি মাটি সঞ্চিত হয়ে উর্বর সমভূমি সৃষ্টি করে। এই উর্বর ভূমিতে প্রচুর কৃষির ফসল উৎপাদিত হতো, তাই আদিম মানুষ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে।


জলসেচের সুবিধা:-চাষের জন্য নদীর জল ব্যবহারের সুবিধা ছিল। নদীতে বাঁধ দিয়ে এবং সেখান থেকে খাল কেটে কৃষিজমিতে জলসেচ করা সম্ভব হয়। এর ফলে কৃষি উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়।


ঘরবাড়ি নির্মাণের সুবিধা:-আদিম মানুষ রান্নার জন্য গাছের ডাল, কাঠ প্রভৃতি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করত। নদীর পাড়ে বড় বড় গাছেরও অভাব ছিল না। যে কারণে নদী উপত্যকায় মানুষের বসতি এবং সেই সূত্র ধরে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল।


পানীয় জলের সুবিধা:-আদিম মানুষের কাছে পানীয় জলের একমাত্র উৎস ছিল নদীনালা বা হ্রদের জল। পানীয় জলের সুবিধার জন্যই মানুষ নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে।


মৎস্য শিকার:-মাংসের পর মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য ছিল মাছ। আবার নদী ও হ্রদে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। মাছ শিকারের সুবিধার জন্যই মানুষ নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে। যা ক্রমশাই নগরকেন্দ্রিক সভ্যতায় পরিণত হয়।


যোগাযোগের সুবিধা:- আদিম মানুষের কাছে স্থলপথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া ও পণ্য পরিবহন খুবই কষ্টকর ছিল। সেই তুলনায় জলপথ ছিল সহজতর মাধ্যম। নদীপথে যেহেতু দ্রুত সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয়, তাই মানুষ নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে।


অন্যান্য কারণ:- উপরের কারণগুলি ছাড়াও আরো অনেক কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সভ্যতার  বিকাশ ঘটে। যেমন- অনুকূল আবহাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা, অধিক নিরাপত্তা প্রভৃতি।



আরো দেখুন:-


নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী? এই যুগের গুরুত্ব কী?


নীল ধ্বজের প্রতি জনা প্রশ্ন উত্তর




Post a Comment

0 Comments