"জ্ঞানচক্ষু"- ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর মান-3
1."সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়"-সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাবার কারণ কী?
উ:-আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু"-গল্পে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তার নতুন মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প ছাপানো পত্রিকা নিয়ে বাড়িতে আসলে সকলে জানতে পারে যে তপনের গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
**তপনের নতুন মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প "কারেকশান" করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকার সম্পাদকে দিয়ে প্রকাশ করান। জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে তপন উত্তেজনায় ফুটতে থাকে। তার বাড়িরে শোরগোল পড়ে যায়।
2."এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"-কোন বিষয়ে কীরূপ সন্দেহ ছিল তপনের?
উ:-"আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু " গল্পে কবি,সাহিত্যিক ও লেখকেরা যে তার বাবা, ছোটোমামা ও মেজোকাকুর মতো মানুষ-সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
**বালক তপন মনে করতো যে কবি, সাহিত্যিকরা ভিন্ন প্রকৃতির হয়। তাঁরা হয়তো অলৌকিক জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জানতে পারে যে, তাঁরাও তার বাবা, কাকার মতো সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
3."পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে"-কার মধ্যে, কেন এমন ভাবার উদয় হয়েছিল?
উ:- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু"-গল্পে তপনের মধ্যে এরূপ ভাবনার উদয় হয়।
**তপনের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে। এটা ছিল তার কাছে কল্পনাতীত। ফলে মেসো পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসলে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। সত্যিই কী তার গল্প ছাপানো হয়েছে,, হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের হাতে ঘুরবে!! এই ঘটনাকে তপনের অলৌকিক মনে হয়েছে।
4."তার থেকে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের "-কে কেন এমন সংকল্প করে?
উ:-তপনের নতুন মেসোমশাই "সন্ধ্যাতারা"পত্রিকায় তার গল্পটি ছাপিয়ে দেন। সকলের আবদারে তপন গল্প পড়তে শুরু করলে দেখে যে তার মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প কারেকশানের নামে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে। বাড়িতে ঠাট্টা করা হয় যে ঐ রকম মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতো। এইসব ঘটনায় তপন দুঃখিত হয়। আর প্রতিজ্ঞা করে যদি গল্প ছাপাতে হয় তো সে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে। এতে গল্প ছাপা হোক আর না হোক।
5."গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল"-কার কেন গায়ে কাটা ওঠে?
উ:-নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন গল্প লেখার অনুপ্রেরণা পায়। তাই সবাই দুপুর বেলায় যখন নিথর হয়ে পড়ে তখন চুপি চুপি তপন তিন তলার সিঁড়িতে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে ।নিজের লেখা গল্প পড়ে তার মনে হয় যেন হুবহু লেখকের মতোই। তার লেখক হতে আর বাঁধা নেই। এই অনুভবে তার গায়ে কাটা ওঠে ও মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়।
1 Comments
Hhd
ReplyDelete