** মাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর
গল্প " জ্ঞানচক্ষু "
*MCQ মান-1
1."জ্ঞানচক্ষু"- কার লেখা?
উ:-আশাপূর্ণা দেবী
2.কীসের ছুটিতে তপন মামার বাড়ি গিয়েছিল?
উ:-গ্রীষ্মের।
3.'জ্ঞানচক্ষু'- গল্পে কার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়?
উ:- তপনের।
4.ছোটমাসি তপনের থেকে কত বছরের বড়ো?
উ:-আট বছরের।
5.কোন পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপানো হয়েছিল?
উ:-সন্ধ্যাতারা।
6.কী নামে তপনের গল্প ছাপানো হয়?
উ:-শ্রী তপন কুমার রায়।
7.কোথায় বসে তপন তার প্রথম গল্পটি লেখে?
উ:- সিঁড়িতে।
8.রত্নের মূল্য একমাত্র কারা কাছে ?
উ:-জহুরির কাছে।
9.তপনের লেখা কে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন?
উ:-নতুন মেসোমশাই।
10.কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে যায়?
উ- নতুন মেসোমশাইকে।
11."ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে"- কোন কথা?
উ-কারেকশানের কথা।
12."যেন নেশায় পেয়েছে"- তপনের কীসের নেশা পেয়েছিল?
উ:-গল্প লেখার।
13."চিরকালের বন্ধু"- তপনের চিরকালের বন্ধু কে?
উ:-ছোটমাসি।
14."চোখ মারবেল হয়ে যায়"- কার?
উ:- তপনের।
15.তপনের লেখা গল্পের নাম কী?
উ:- প্রথম দিন।
16."আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম"-বক্তা কে?
উ:-মেজোকাকু।
17.ছোটমাসি ডিমভাজার সঙ্গে কী খায়?
উ:-চা।
18.ছোটোমেসো তপনের বাড়িতে কী পান করেছিল?
উ:- কফি।
19.বাড়িতে তপনের কী নাম হয়ে গেছে?
উ:-কবি, সাহিত্যিক ও কথাশিল্পী।
20.ঠাট্টাতামাশার মধ্যে তপন কয়টি গল্প লেখে?
উ:- দুই-তিনটি।
**এককথায় প্রশ্ন ও উত্তর- মান -1
1"এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"-কোন বিষয়ে?
উ:- তপন স্বচক্ষে লেখক দেখেনি। তাই লেখক নতুন মেসোমশাই যে তার বাবা-ছোটোমামা- মেজোকাকুর মতোই সাংসারিক, আটপৌরে মানুষ হবে-সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
2.কী উপলক্ষে তপন মামাবাড়িতে এসেছে?
উ:- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন গ্রীষ্মের ছুটির অবকাশে ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষে মামাবাড়িতে আসে।
3:- তপন কী বিষয় নিয়ে তার প্রথম গল্প লেখে?
উ:-তপন বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে তার প্রথম গল্প লেখে।
4:-তপনের চোখ কেন মারবেল হয়ে যায়?
উ:-তপনের নতুন মেসোমশাই নাকি একজন লেখক, তার সাথে সাক্ষাৎ হবে মামাবাড়িতে। একথা ভেবে তার চোখ মার্বেল হয়ে যায়।
5:-"রত্নের মূল্য জহুরির কাছে"-কাকে জহুরির সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উ:-আশাপূর্ণা দেবী লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পাংশে তপনের নতুন মেসোমশাইকে জহুরির সাথে তুলনা করা হয়েছে।
6:-ছোটোমাসির হইচইতে তপন পুলকিত হয় কেন?
উ:-ছোটমাসি হইচই করে নতুন মেসোর ঘুম ভাঙিয়ে তপনের লেখা পড়তে দিলে তপন আরষ্ঠতা আর লজ্জা ভুলে মনে মনে পুলকিত হয়।
7.কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়?
উ:-তপনের ছোটোমাসির সদ্য বিয়ে হওয়া নতুন লেখক মেসোমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।
8:-"সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়"- কেন?
উ:- তপনের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে পত্রিকায় বেরিয়েছে, এখবরে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
9.দুঃখের মুহূর্তে তপন কী সংকল্প করে?
উ:- যদি কখনো গল্প ছাপাতে হয় তো সে নিজে গিয়ে সম্পাদকে দিয়ে আসবে। এতে গল্প ছাপা হোক আর না হোক।
10.পিঠ চাপড়ানোর সুরে ছোটমাসি কী বলেছিল?
উ:- "ও মা এতো বেশ লিখেছিস রে??কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?"
বি:দ্র:- নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উওর শুধুমাত্র সঠিক বিকল্পটি লেখলেই হবে তবে একবাক্যের প্রশ্নের উত্তর করার সময় উৎস অবশ্যই উল্লেখ করবে।
-----
"জ্ঞানচক্ষু"- ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর মান-3
1."সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়"-সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাবার কারণ কী?
উ:-আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু"-গল্পে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তার নতুন মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প ছাপানো পত্রিকা নিয়ে বাড়িতে আসলে সকলে জানতে পারে যে তপনের গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
**তপনের নতুন মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প "কারেকশান" করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকার সম্পাদকে দিয়ে প্রকাশ করান। জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে তপন উত্তেজনায় ফুটতে থাকে। তার বাড়িরে শোরগোল পড়ে যায়।
2."এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"-কোন বিষয়ে কীরূপ সন্দেহ ছিল তপনের?
উ:-"আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু " গল্পে কবি,সাহিত্যিক ও লেখকেরা যে তার বাবা, ছোটোমামা ও মেজোকাকুর মতো মানুষ-সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
**বালক তপন মনে করতো যে কবি, সাহিত্যিকরা ভিন্ন প্রকৃতির হয়। তাঁরা হয়তো অলৌকিক জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জানতে পারে যে, তাঁরাও তার বাবা, কাকার মতো সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।
3."পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে"-কার মধ্যে, কেন এমন ভাবার উদয় হয়েছিল?
উ:- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু"-গল্পে তপনের মধ্যে এরূপ ভাবনার উদয় হয়।
**তপনের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে। এটা ছিল তার কাছে কল্পনাতীত। ফলে মেসো পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসলে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। সত্যিই কী তার গল্প ছাপানো হয়েছে,, হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের হাতে ঘুরবে!! এই ঘটনাকে তপনের অলৌকিক মনে হয়েছে।
4."তার থেকে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের "-কে কেন এমন সংকল্প করে?
উ:-তপনের নতুন মেসোমশাই "সন্ধ্যাতারা"পত্রিকায় তার গল্পটি ছাপিয়ে দেন। সকলের আবদারে তপন গল্প পড়তে শুরু করলে দেখে যে তার মেসোমশাই তপনের কাঁচা হাতের গল্প কারেকশানের নামে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে। বাড়িতে ঠাট্টা করা হয় যে ঐ রকম মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতো। এইসব ঘটনায় তপন দুঃখিত হয়। আর প্রতিজ্ঞা করে যদি গল্প ছাপাতে হয় তো সে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে। এতে গল্প ছাপা হোক আর না হোক।
5."গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল"-কার কেন গায়ে কাটা ওঠে?
উ:-নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন গল্প লেখার অনুপ্রেরণা পায়। তাই সবাই দুপুর বেলায় যখন নিথর হয়ে পড়ে তখন চুপি চুপি তপন তিন তলার সিঁড়িতে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে ।নিজের লেখা গল্প পড়ে তার মনে হয় যেন হুবহু লেখকের মতোই। তার লেখক হতে আর বাঁধা নেই। এই অনুভবে তার গায়ে কাটা ওঠে ও মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়।
0 Comments