উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন। BEST H.S BENGALI SUGGESTIONS

 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ।"ভারত বর্ষ" গল্প ।H.S BENGALI SUGGESTIONS. 

Hello,আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী ,তোমরা কেমন আছো ?আশা করি ভালোই আছো ।তোমাদের পড়াশোনা কেমন চলছে? আশা করছি তোমরা বেশ ভালই পড়াশোনা করছো। parasuna.com তোমাদের সাজেশন ভিত্তিক mcq ,acq, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর  পাবলিশ করছে। এই প্রশ্নগুলোর উপর অধিক গুরুত্ব দেবে তোমরা ।এই প্রশ্নগুলি ফাইনাল পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা বেশি ।তোমাদের তিনটি গল্প, ইতিমধ্যে "কে বাঁচায় ,কে বাঁচে"- গল্পটি সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই দুটি গল্প "ভাত" ও "ভারতবর্ষ" ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । দুটি গল্প থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন আসবে দুটি ।তার মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই তোমাদের দিতে হবে। তবে আশা করছি "ভারতবর্ষ"- গল্প থেকে নিম্নলিখিত এই চারটি থেকে পাঁচটি প্রশ্নোত্তর গুরুত্বসহকারে পড়লেই তোমরা কমন পেয়ে যাবে।


রচনাধর্মী প্রশ্ন                          মান 5

১- "হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল"-অদ্ভুত দৃশ্যটি কী? এরপর কি ঘটতে দেখা গেল ?

অথবা মৃত ভেবে ফেলে দেওয়ার পরের ঘটনার বিবরণ দাও।

 অথবা "হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল"- গ্রামের মানুষের মধ্যে এই দৃশ্যের যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিল তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

                         উত্তর 

অদ্ভুত দৃশ্যঃ-সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের "ভারতবর্ষ" গল্পটিতে এক অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা ঘটানো হয়েছে । দেখা যায় রাঢ় বাংলার শীতের এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে এক ভিখিরী বুড়ি বট গাছের তলায় মারা গেছে বলে অনেকে কল্পনা  করে। নীল উর্দি পরা এক বিজ্ঞ চৌকিদার গ্রামবাসীকে পরামর্শ দেয়, বুড়ির মৃতদেহটিকে নদীর চড়ায় ফেলে আসতে ।তাই কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন চ্যাংদোলা করে বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে আসে ।এরপরে বিকেলে দেখা গেল 'অদ্ভুত দৃশ্য' । যে চ্যাংদোলায় করে বুড়িকে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছিল , সেই চ্যাংদোলা নিয়ে কিছু মুসলমান সমাজের মানুষ বাজারের দিকে এগিয়ে আসে।

গ্রামের মানুষের প্রতিক্রিয়াঃ- এরপর কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ এগিয়ে আসা মানুষজনকে বাজারের কাছে বাধা দেয় । তারা জানতে চাইল "ব্যাপার কি?" মুসলমান সব বাহকরা উত্তরে বলল "বুড়ি যে মুসলমান।" কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রমাণ দিতে থাকলো বুড়ি হিন্দু। এরপর রাস্তার উপরে বুড়িকে রেখে উভয় পক্ষের বাগবিতন্ডিতা বাড়তে থাকে। দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি যে মুসলমান এ বিষয়ে গ্রামের মোল্লা সাহেব পর্যন্ত সপথ করে জানান ,তিনি নাকি ভোরের নামাজ সেরে যখন বাস ধরতে বাজারের দিকে আসছিলেন তখনই বুড়ি মারা যেতে যেতে কলমা পড়েছিল। আবার গ্রামের ভট্টাচার্যমশাই তিনিও বাস থেকে সবেমাত্র নেমে বললেন যে, তিনিও মোল্লা সাহেবের সঙ্গে একই বাসে চেপে কলকাতা গেছেন ।সেই সময় তিনি স্পষ্ট বুড়িকে "শ্রী হরি শ্রী হরি" বলতে শুনেছেন। এরপর একে একে বহু মুসলিম এ বিষয়ে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ দেয় । অপরপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ও বুড়ির হিন্দুত্  সম্পর্কে অনেকে সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হবার উপক্রম হয়।কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাকে নিয়ে এই বিতর্ক, সেই শেষ পর্যন্ত জেগে উঠে এবং দুদিকের ভিড় দেখে মুখ বিকৃত করে এবং ফিক ফিক করে হাসতে থাকে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দূরের দিকে চলে যায়।

                    ------


2- "সেই সময় এলো এক বুড়ি"- বুড়ির চেহারা ও পোশাকের পরিচয় দাও।

বুড়িরর চেহারা ও পোষাক:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের "ভারতবর্ষ" গল্পে যে বুড়ির চরিত্র আমরা পাই, সে ছিল ভিখিরি অথচ তার একমাত্র রুক্ষ সাধারণ পরনে ছেঁড়া নোংরা  কম্বল। তার সুদীর্ঘ পায়ের চিহ্ন যেন বলিরেখা এঁকেছে।


বুড়ির চায়ের দোকানে প্রবেশঃ-চা দোকানে তীব্র তর্ক-বিতর্ক চলাকালে ভিজতে ভিজতে ভিজতে এক বুড়ি চা খেতে এল। সবাই ভাবলো এই দুর্যোগে বুড়ি বেঁচে-বর্তে আছে কিভাবে? আর এতটা পথ এরূপ পরিস্থিতিতে হেঁটে আসল কিভাবে?? বুড়ি কাউকে পাত্তা না দিয়ে চা খেলো এবং নির্বিকারে পয়সা মিটিয়ে  দিল । বুড়ির চেহারা দেখে একজন তাকে জিজ্ঞেস করল যে সে কোথা থেকে এসেছে? বুড়ি  মেজাজে উত্তর দিল যে ,"সে কথায় তোমাদের কাজ কি বাছাড়া"- বুড়ি যে এমন তেজ উত্তর দিতে পারে তা দেখে একজন মন্তব্য করল, বুড়ি  যেন উত্তেজিত ঘোড়াবুড়িকে নিয়ে রঙ্গ তামাশা  চলতে থাকে।  কোনো এক তরুণ প্রশ্ন করল "ও বুড়ি তুমি থাকো কোথায়?"  রেগে গিয়ে জবাবে বুড়ি বলল "তোমাদের মাথায়" । বুড়ি কারো কথা না শুনে ধীরে ধীরে হেঁটে যেতে লাগলো বটগাছ তলায়।  বুড়িকে নিয়ে যারা মজা করছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন সমবেদনা জানিয়ে বলল যে ,এমন চরম দুর্যোগে বুড়ির যে কি অবস্থা হবে? তারা বুড়ির স্বপক্ষে চেঁচিয়ে বলল - "মরবে,নির্ঘাত মরবে বুড়িটা। "- কথাটা শান্তস্বরের ভঙ্গিতে বলেছিল। কিন্তু  বুড়ি ক্ষেপে গিয়ে দোকানে বসে থাকা লোকদের উদ্দেশ্যে বলল "-তোদের শত গোষ্ঠী মরুক"। এই কথা বলতে বলতে বুড়ি হেঁটে গিয়ে বসল বট গাছের শিকড়ে। এককথায় বুড়ির মেজাজ ছিল তীক্ষ্ণ। যারা কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই। 

                        ------

৩-"কতক্ষণ সে মারমুখী জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত কে জানে"- 'সে' বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? জনতা মারমুখী হয়ে উঠেছিল কেন ?

                        উত্তর 

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' গল্পের উদ্ধৃতাংশে 'সে' বলতে এখানে আইন রক্ষক নীল উর্দি পরা লাঠিধারী চৌকিদারের কথা বলা হয়েছে।


জনতার মারমুখী হয়ে ওঠার কারণঃ- দুরন্ত শীতের অকাল দুর্যোগে বটগাছের কর্দমাক্ত খোঁদলে বুড়িকে নিঃসাড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীদের মনে হয়েছিল, সে মারা গিয়েছে । বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাকে নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে আসে। কিন্তু বিকেলে দেখা যায় "এক অদ্ভুত দৃশ্য" মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বুড়িকে চ্যাংদোলা করে পুনরায় বাজারে ফিরিয়ে আনেন ।হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের বাধা দেন এবং চরম তর্ক বিতর্ক বাক বিতণ্ডা শুরু হয় ।উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মনগড়া সাক্ষ্য-প্রমাণ সাজিয়ে সপক্ষে যুক্তি খাড়া করে। গায়ের মোল্লা সাহেবের নেতৃত্বে মুসলমানরা দাবি তোলে বুড়ি মরার সময় আল্লাহ বা বিসমিল্লাহ বলেছেন ।মোল্লা সাহেব নিজের কানে বুড়িকে স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনেছেন ।অপরপক্ষে গায়ের ভট্টাচার্যমহাশয়ের নেতৃত্বে হিন্দুরা দাবি তোলে বুড়ি তাদের সম্প্রদায়ের লোক। ভট্টাচার্য মশাই তিনিও বুড়িকে স্পষ্ট "শ্রীহরি শ্রীহরি" বলতে শুনেছেন ।আবার নকড়ি  নাপিত বুড়িকে "হরিবোল হরিবোল" বলতে শুনেছেন ।এরূপ তথ্য-প্রমাণের চাপানউতোর ,কথা কাটাকাটি চলতে থাকে এবং একসময় বুড়ির বাসের চ্যাংদোলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয় । নীল উর্দি পরা চৌকিদার উভয়পক্ষকে লাঠি উঁচিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করে । দেখা যায় পিচের উপর বুড়ির দেহকে মাঝখানে রেখে এক সময় মারাত্মক সব অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে দু'পক্ষ যোদ্ধার মূর্তিতে মারমুখী হয়ে ওঠে। উভয়পক্ষই গালিগালাজ করছে ,মোল্লা সাহেব 'আল্লাহু আকবার' বলে চেঁচালেন।আবার ভট্টাচার্য মশাই "জয় মা কালী যবন নিধনে অবতীর্ণ হও মা" বলে যাচ্ছেন ।বুড়ির দেহের দখল নিতে মারমুখী হয়ে ওঠে উভয় পক্ষের মানুষ। 


                         -------


৪- "সেখানে গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার"-বাজারটির পরিচয় দাও।

 অথবা "কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে"- বাজারটি কোথায় অবস্থিত ? গল্প অবলম্বনে বাজারের বর্ণনা দাও।


                       উত্তর 

ভূমিকাঃ- সমাজ সচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' গল্পের সূচনায় এমন একটি ছোট বাজারের ছবি এঁকেছেন।  যাকে কেন্দ্র করে একটি ছোট গ্রাম গড়ে উঠেছে ।এই গ্রাম জীবনে তাপ- উত্তাপ কম ।বেঁচে থাকার গ্লানি নিয়ে এখানকার মানুষজন সমবেত হয় ছোটো এই বাজারে ।


বাজারের পরিচয়ঃ- বট গাছের কাছে যেখানে পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে, সেখানে এই ছোটো বাজার গড়ে উঠেছে। গ্রামের বিদ্যুৎ না থাকলেও বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ বর্তমান। সেখানে রয়েছে ইতস্তত কিছু দোকানপাট, যার মধ্যে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান। এছাড়াও রয়েছে তিনটে পোশাকের দোকান, একটা মনোহারী ,দুটো মুদিখানার দোকান এবং একটা আরত। ধান গম ভাঙানোর জন্য একটা হাস্কিং মেসিন রয়েছে ।বাজারের পিছনে একটা ইটভাটাও অবস্থান করছে।


বাজারের পরিবেশঃ- গ্রামের শান্ত সমাহিত জীবনের বাইরে একটু উত্তাপ আস্বাদন পেতে চারপাশের গ্রাম থেকে লোকেরা আসে। বাজারটি আংশিক জমজমাট হয়ে ওঠে। চায়ের দোকানে চাষাভূষা মানুষের সমাগম হয় ।চায়ের দোকানে জমে উঠে মজলিস ।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা চলে। এরূপ জমজমাট ভাব থাকে রাত নটা পর্যন্ত। বাজার একসময়  ফাঁকা হয়ে যায় ।শুধু সারারাত এলেক্ট্রিক বাতি জ্বলতে  থাকে ।পিচের সড়কের উপর তখন ঘুরতে দেখা যায় কিছু নেড়িকুত্তাকে।মাঝে মাঝে রাস্তা কাপিয়ে ট্রাক চলে যায় দূরের শহরের  দিকে।থেকে থেকে ভেসে আসে শুধু প্যাঁচার ডাক।

                    -------

বি:দ্রঃ-উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা সাজেশন বিষয় ভিত্তিক দেওয়া হবে।2020 সালের পরীক্ষায় 98% কমন এসেছে। parasuna. Com শেষ মূহুর্তে প্রকাশ করবে "Last minute suggestions " Arts এর সমস্ত বিষয়। যা থেকে কমন আসে 100% ।



 

Post a Comment

2 Comments

  1. ভারত বর্ষ গল্প থেকে.সবাই আবিষ্কার করল. সবাই কি আবিষ্কার করলো ক্লাস টুয়েলভ

    ReplyDelete