Madhyamic ব্যাকরণ। সমাস সম্পর্কে আলোচনা।

  MADHYAMIC সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও জ্ঞানপিপাসু পাঠকের জন্য। M.P 'Samas' Details

.


সমাস কী? সমাস কথার অর্থ কী? কেন সমাস জানা প্রয়োজন? বিস্তারিত জেনে নিন।

সমাস শব্দের আক্ষরিক অর্থ:- সমাস শব্দের  আক্ষরিক অর্থ হলো সংক্ষেপ বা এক হওয়া। 

ব্যাকরণগত অর্থ:- একপদীকরণ বা সংক্ষিপ্তকরণ। 

সমাস জানা প্রয়োজন কেন:- মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করে ভাষার মাধ্যমে। আর এই ভাষার মাধুর্য নির্ভর করে সমাসের উপর। তাই বাক্যের অন্তর্গত একাধিক পদকে সংযুক্ত করে সুন্দর ভাব ফুটিয়ে তোলা সম্ভব সমাসের মাধ্যমে। ব্যাকরণ বা ভাষাতত্ত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সমাস। সমাস না জানলে সুন্দর ভাষা প্রকাশ করা বা লেখা সম্ভব না।তাই সমাস জানা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। 

●সমাস:- পরস্পর অর্থ সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করাকে সমাস বলে। 

●উদাহরণঃ-

(১) প্রতিকূল=কুলের বিরুদ্ধে। 

 (২) গড়মিল = মিলে অভাব।

●সমাসের উপাদান গুলি কি কি?

 ●সমাস এর উপাদান:- সমাসের উপাদান গুলি হল -(১) সমস্যমান পদ (২)সমস্ত পদ (৩) ব্যাসবাক্য। 
সমস্যমান পদ কাকে বলে?কয় প্রকার ও কি কি? 

●সমস্যমান পদঃ যে সকল পদ একত্রিত হয়ে সমাস গঠিত হয়, তাদের সমস্যমান পদ বলে । 

●শ্রেণিঃ- সমস্যমান পদ দুই প্রকার। যথা- (১) পূর্বপদ ও (২) পরপদ।

 ●পূর্বপদ কাকে বলে ?

পূর্বপদ:-সমস্যমান পদ গুলোর মধ্যে যে পদ পূর্বে অবস্থান করে , তাকে পূর্বপদ বলে ।

●যেমন- বিনা পানিতে যার = বীণাপাণি।
 এখানে পূর্বে অবস্থান করেছে "বীণা" তাই এটি পূর্বপদ হয়েছে।

পরপদ কাকে বলে?

পরপদঃ- সমস্যমান পদগুলির মধ্যে যে পদ পরে বসে,তাকে পরপদ বলে ।

●যেমন- বীণা পাণিতে যার = বীণাপাণি ।
এখানে "পানিতে" পরে বসায় পরপদ হয়েছে।

সমস্ত পদ কাকে বলে সমস্ত?
সমস্তপদঃ-  সমস্যমান পদগুলো একপদে পরিণত হলে, তাকে সমস্ত পদ বলে।
●যেমন:- কথামৃত= কথা অমৃতের  মত ।
এখানে ব্যাসবাক্যের তিনটি পদ একত্রিত হয়ে 'কথামৃত' একটি নতুন পদ গঠিত হয়েছে ।এই নতুন পদকেই সমস্ত পদ বলে।

ব্যাসবাক্য কাকে বলে?
ব্যাসবাকঃ- সমস্ত  পদকে ভেঙে সমাসের অর্থ যে বাক্যের দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয় ,তাকে ব্যাসবাক্য বলে।

যেমনঃ- দশানন=দশ আনন যার।
 এখানে দশানন সমস্ত পদকে বিশ্লেষণ করে " দশা আনন যার" বাক্যটি পাওয়া গেছে। তাই এটি ব্যাসবাক্য ।

● ব্যাসবাক্যের অপর নাম বিগ্রহবাক্য কেন?

● বিগ্রহবাক্যঃ- 'বিগ্রহ'- শব্দের অর্থ হলো বিশেষ রূপ ধারণ। অর্থাৎ সমস্ত পথকে বিশ্লেষণ করার জন্য ব্যাসবাক্য একটি নতুন রূপ বা বিশেষ রূপ ধারণ করে বাক্যে পরিণত হয়। তাই ব্যাসবাক্যের অপর নাম বিগ্রহ বাক্য।

ব্যাসবাক্য কে সুনিপুণ গৃহিণীর সাথে কে তুলনা করেছেন কেন?
উত্তরঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাসকে সুনিপুণ গৃহিণীর সাথে তুলনা করেছেন । একজন সুনিপুণ গৃহিণী যেমন একাধিক উপাদান মিশিয়ে রান্নার নতুন পদ তৈরি করে, তেমনি  একাধিক পদের সংযুক্তি ঘটিয়ে একটি নতুন পদ তৈরি করে, তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাসকে সুনিপুণ গৃহিণীর সাথে তুলনা করেছেন।

●সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কি?

 পার্থক্যঃ-(১)পরস্পর সন্নিহিত বা তার বেশি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। যেমনঃ- বিদ্যালয়=বিদ্যালয়  কিন্তু সমাস হল অর্থ সম্বন্ধযুক্ত দুই বা ততোধিক পদকে এক পদে রূপান্তর।
 যেমনঃ-বিদ্যার আলয়য=বিদ্যালয়। 

(2) সন্ধিতে কখনো বর্ণের লোপ বা আগমণ হয়।
 যেমন- অতঃএব , আচ্ছাদন। কিন্তু সমস্যা হলো সমাসে 'অলুক'রছাড়া সব সময় বিভক্তি লোপ হয় ।

(৩) সন্ধিতে প্রতিটি পদের অর্থ বজায় থাকে। যেমন চন্দ্রোদয়= চন্দ্র+ উদয় ।কিন্তু সমাসের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব সমাস ছাড়া অন্যান্য সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান হয়। পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়  সন্ধি শব্দের কোন পরিবর্তন হয় না ।

(৪) সমাসে কোন কোন ক্ষেত্রে শব্দের ক্রোমের পরিবর্তন হয় । যেমন হংশের রাজা= রাজহংস।

●সমাস কয় প্রকার ও কি কি ?

শ্রেণীবিভাগ  আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পদের অর্থ অনুযায়ী সমাজকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়।

 ১. উভয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়ঃ-দ্বন্দ্ব সমাস ।
২.পূর্বপদ প্রধান পায়ঃ- অব্যয়ীভাব সমাস ।
3পরপদ প্রধান হয়ঃ তৎপুরুষ, কর্মধারায় ও দিগু। 
৪. অন্যান্য পদের অর্থঃ- বহুব্রীহি।
 এছাড়াও  নিত্য সমাস আছে
 
[সামসের শ্রেণীবিভাগ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে পরবর্তী সময়ে।]

Post a Comment

0 Comments