BANGLA SUGGESTIONS 2021-2022| একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল সাজেশন |কর্তার ভূত

BANGLA SUGGESTIONS 2021-22 একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন কর্তার ভূত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


MCQ                                                    মান-1

১- "যেমন করে পারি ভূত ছাড়াব"-উক্তিটির বক্তা কে?

 উত্তর -অর্বাচীনেরা ।

২- ভুতুড়ে জেলখানার দারোগা কে ছিল?

 উত্তর- ভুতের নায়েব।

৩- দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল কেন?

 উত্তর- ভূতকে মানলে কোন ভাবনায় নেই ।

৪-"দেশটাকে বুড়ো কর্তা নারেও না অথচ ছাড়েও না"- কেন?

 উত্তর- সে কেবলমত্র ভূত হয়ে দেশের ঘাড়ে চেপে বসে আছে।

৫- ভূতের জেলখানার ঘানি থেকে কী বের হয়?

 উত্তর -মানুষের তেজ।

৬-" খাজনা দেবো কিসে"- এ প্রশ্নের উত্তরে কী আসে?

 উত্তর- আব্রু, ইজ্জত ও বুকের রক্ত দিয়ে।

৭-" তুমি গেলে আমাদের কি দশা হবে "-এখানে 'দশা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তর- অবস্থা ।

৮-এখনও ঘানি অচল হয়নি "- কথাটি কে বলেছে?

 উত্তর -ভুতের নায়েব।

৯- জগতের সবচেয়ে আদিম চলার রীতি কী?

 উত্তর- চোখ বুজে চলা।

১০- খিড়কির আনাচে-কানাচে কে ঘোরে?

 উত্তর- ভূতর পেয়াদা ।

১১-"তারা ভয়ঙ্কর সজাগ আছে"- এখানে তারা বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে ? 

উত্তর- পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষদের।

১২-"এই চোখ বুজে চলাই হচ্ছে জগতের সবচেয়ে আদিম চলা"- বক্তা কারা?

 উত্তর -দেশের তত্ত্ব জ্ঞানীরা।

১৩-" বেহুশ যারা তারাই পবিত্র "-কথাটি কারা বলেছেন?

উত্তর- শিরোমণি চূড়ামণির দল ।

১৪-"কৃষ্ণ নাম"- শুনাতে কাদের চেয়েছে? 

 উত্তর- বুলবুলির ঝাককে ।

১৫-"ভুতুড়ে জেলখানায় ঘানি থেকে কি বের হয়ে যায়?

 উত্তর- তেজ।

১৬- ভূতের কানমলা কারা খায় ?

 উত্তর -স্বভাব দোষে যারা নিজে ভাবতে যায় ।

১৭-কর্তার ভূত কী জাতীয় রচনা ?

উত্তর -ব্যাঙ্গ- রূপক গল্প। 

১৮- " তার বিরুদ্ধে না চলে নালিশ"- এখানে কার বিরুদ্ধের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- ভূত।

১৯- ভূতের বাড়াবাড়ি হলে মানুষ কার খোঁজ করে?

 উত্তর - ওঝার। 

২০- কর্তার ভূত গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?

উত্তর -প্রবাসী।

SAQ                                                            মান-1

১- "ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাক শান্তি থাকে"- কেন?

 উত্তর- ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাকলেও শান্তি থাকে। কেননা সেখানে কেউ প্রতিবাদ করার লোক নাই ।

২-"দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল"- নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ কী? 

উত্তর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হয়ে ছিল, কেননা বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবেন।

৩- কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয় কেন?

 উত্তর -কর্তার মৃত্যুর পরেও দেশের মধ্যে থেকে যাবেন ,দেশের মানুষের কথা ভাববেন ।তাই কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয়।

 ৪-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সনাতন ঘুম বলতে কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর-'কর্তার ভূত' রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'সনাতন ঘুম' বলতে পরিবর্তনহীন অন্ধ সংস্কারকে চিহ্নিত করেছেন।

৫-"মোদ্দা কথাটা হচ্ছে"- মোদ্দা কথাটা কী?

 উত্তর- কর্তার ভূত গল্পে 'মোদ্দা কথা' বলতে বুড়ো কর্তার অবস্থান ও কৃতকর্মকে নিয়ে অর্থাৎ বুড়ো কর্তা বেঁচেও নেই মরেও নেই ,ভুত হয়ে আছে।

৬- ভূতের জেলখানার ঘানি থেকে কী বের হয় ?

উত্তর- ভূতের জেলখানার ঘানি নিরন্তর ঘুরে ।সেখান থেকে একফোঁটাও তেল বের হয় না । কিন্তু মানুষের তেজ বেরিয়ে যায়। 

৭-"নইলে ছন্দ মেলেনা"- ছন্দ মেলাতে কোন দুটি পঙক্তি উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তর -"কর্তার ভূত"- গল্পে ছন্দ মেলাতে যে দুটি পঙ্ক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হল -'খোকা ঘুমোলো/ পাড়া জুড়োলো।"

৮-" কর্তার ভূত "-গল্পে ভূত বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

 উত্তর -"কর্তার ভূত"-  গল্পে 'ভূত' বলতে কোনো অশরীরী আত্মাকে বোঝানো হয়নি। পুরনো জরাজীর্ণ কুসঙস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতাকে ভূত বলা হয়েছে।

 ৯-"ভূতের কানমলা"-   বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর- কর্তার ভূত গল্পে ভুতের কানমলা বলতে প্রাচীন পন্থীদের কাছ থেকে আসা নানান অপমান ,অবমাননা ও দৈহিক শাস্তিকে বোঝানো হয়েছে।

১০- " ভয় করে যে কর্তা "- কারা কখন এ প্রশ্ন করে।

 উত্তর -দেশের মধ্যে দুই একটা মানুষ যারা গভীর রাত্রে এ কথা বলে বুড়ো কর্তাকে।

রচনাধর্মী প্রশ্ন                                                মান-1

১- "কর্তার ভূত"-  কি নিছক ভূতের গল্প নাকি রাজনৈতিক রূপক কাহিনী ব্যাখ্যা সহ লেখো।

 উত্তর-" লিপিকা"- গ্রন্থের অন্তর্গত কর্তার ভূত একটি স্বতন্ত্র শ্রেণীর গল্প বলা যেতে পারে ।এটি ব্যঙ্গ-রূপক গল্প। অন্যান্য ছোট গল্পের সঙ্গে এই গল্পের কোনো বৈশিষ্ট্যগত মিল নেই। গল্পটি রচনা প্রকরণ একেবারেই স্বতন্ত্র।

প্রতীক ধর্মী গল্পঃ- লিপিকার গল্প ভাব মুখ্য ও প্রতীক ধর্মী। কর্তার ভূত গোত্র বিচারে প্রতিকধর্মী গল্প। এটি  ব্যঙ্গ-রূপক গল্প। আবার 'ঘোড়া' ও 'তোতা কাহিনী'র মতো এ গল্পটিও রূপকাশ্রিত । মানুষের প্রার্থনায় দয়ালু দেবতা জানান ভূত হয়ে ঘাড়ে চেপে থাকবে কেননা ভুতের তো মৃত্যু নাই সুতরাং ঘুমন্ত ভূত শাসনতন্ত্রে মানুষ খুশি।

অদৃষ্ট বিরোধী গল্পঃ-দেশসুদ্ধ লোক ভুতগ্রস্থ হয়ে অদৃষ্ট চালে চলতে থাকে। তাদের কোনো চিন্তা নাই। ভূতের বাড়াবাড়িতে তাদের ওঝাকে ডাকতে হয় না। কেননা ওঝাকে আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন পৃথিবীর অন্য দেশগুলোকে ভুতে পায়নি, ফলে তারা অভ্যস্ত নয় ,তারা ভয়ঙ্কর সজাগ আছে । তাই এটি অদৃষ্ট বিরোধী গল্প।

প্রতিবাদী গল্পঃ- কর্তার ভূত একটি প্রতিবাদী গল্প। 1890 সালে "ইউরোপ যাত্রীর ডায়েরি"- প্রবন্ধ লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেখানে তিনি বলেছিলেন আমাদের সেই সর্বাঙ্গসম্পন্ন প্রাচীন সভ্যতা বহুদিন হলো পঞ্চত্বপ্রাপ্তি হয়েছে। আমাদের দেশ হাজারো সংস্কার নিয়ে ক্রমাগত পিছিয়েছে। ফলে কর্তারা কখনো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ হারাননি। অর্থাৎ আমরাই  তাকে আমাদের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখেছি।

রূপকের আশ্রয়ঃ-"কর্তার ভূত"-গল্পে দেবতা, মানুষের ও ভুতের কথা উপস্থাপিত হয়েছে এই রচনায়। রূপকের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন রবীন্দ্রনাথ। কর্তা নিজে কখনো আমাদের কাছে থাকতে চাননি ।সে কথা তিনি নিজেই বলেছেন -"ওরে অবোধ ,আমার ধরাও নেই, ছাড়াও নেই, তোরা ছাড়লেই আমার ছাড়া।" 

রাজনৈতিক ব্যঙ্গঃ- কর্তা জানান, যতক্ষণ ভয় আছে, ততক্ষণ তার অস্তিত্ব আছে ।তাই তারা যখন বলে,      " ভয় করে যে কর্তা"  কর্তা তখন বলেন- "সেখানেই তো ভূত" অর্থাৎ এই গল্পটি একটি বিশেষ কালের সামাজিক রাজনৈতিক ব্যাঙ্গ হয়ে উঠেছে।

রূপক ধর্মী গল্পঃ-বাচ্যার্থ অতিক্রম করে প্রতীয়মান অর্থ এখানে বড়ো হয়ে উঠেছে। তাই এটি রূপক ধর্মী গল্প। কেননা রূপকের সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি এই গল্পের মধ্যে বর্তমান।


২- "সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা এই চলা চলত"- কোন প্রসঙ্গে এ মন্তব্য ?মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।

উত্তরঃ- কর্তার ভূত গল্পে ভূত শাসনতন্ত্রে যারা দিব্যি খুশি ছিলেন তাদের অন্ধ আনুগত্য সর্বোচ্চ জীবনযাপনকে উদ্দেশ্য করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্তব্য করেছেন।

মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ:- কর্তার ভূত গল্পের প্রায় প্রতিটি ছত্রে ভূত শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ইংরেজ শাসনের এই ভূত প্রাচীনপন্থী সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে ।রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- "সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী/ রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি।" এর কারণ পরানুকরণপ্রিয়তা, অন্ধ আনুগত্য আর বিদেশীদের পদলেহন করতে করতে আমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি নষ্ট হয়েছিল । অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভরতা, অদৃষ্টের প্রতি আস্থা ,আমাদের আত্ম শক্তিহীন করেছিল। আমাদের মানুষ যে পরিমাণে ভাবালুতায় আচ্ছন্ন ,ততখানি যুক্তিবাদী নয়। আসলে আমাদের মধ্যে "মুক্তধারা"- নাটকের ধনঞ্জয় বৈরাগীর মতো কোনো প্রতিবাদী সত্তা নেই ।তাই রবীনাথ ঠাকুর লিখেছেন-" এই চোখ বুজে চলাই হচ্ছে জগতের সবচেয়ে আদিম চলা। একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা। যারা কুসংস্কারকে লালন করেন, যারা অচলায়তনকে মেনে নেন,তারাই বিশ্বাস করেন কর্তার ভূত দেশের মঙ্গলেই করবেন ।ফলে মানুষ সনাতন ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এই ঘুম সবচেয়ে আদিম সবথেকে প্রাচীন।

■সেই ঘুমের স্বরূপ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টির প্রথম ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন ।তখন চক্ষুহীন কীটাণুরা কিংবা ঘাস, গাছ -এরা যেমন অদ্ভুতভাবে নিশ্চল ছিল, ঠিক অনুরূপ   নিশ্চেষ্ঠতা আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। সেই দিক থেকে "কর্তার ভূত" গল্পের এই উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


দেখে রাখতে পাড়ো- * " এমন প্রশ্ন তো বাপের জন্মের শুনিনি"-কোন প্রশ্নের কথা বলা হয়েছে?তা বাপের জন্মে না শোনার কারণ কী?

* "আব্রু দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।"-কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য?মন্তব্যটির গভীর নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

                                   ----

Post a Comment

0 Comments