মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস mcq || একাদশ শ্রেণীর বাংলা ||দ্বিতীয় অধ্যায়

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস mcq :-একাদশ শ্রেণীর বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ থেকে mcq ও রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে, এছাড়াও স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও মধ্যযুগের ইতিহাস থেকে নানান প্রশ্ন। এ ছাড়াও অনেকে খুঁজে চলেছো- একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস , মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসmcq, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বড় প্রশ্ন উত্তর, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর প্রভৃতি। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা আজকে এই কনটেন্ট আপলোড করলাম। 

■ বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মধ্যযুগের বাংলা সমাজ ও সাহিত্যের প্রধান ধারা থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে। তাই অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ার পর আমাদের দেওয়া  ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন ও উত্তর পড়বে। এতে অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হবে। আমাদের পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই তোমরা বন্ধুদের শেয়ার করবে।


বিষয় মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
অধ্যায়দ্বিতীয়-মধ্যযুগের বাংলা সমাজ ও সাহিত্যের প্র:ধারা
বোর্ড পঃবঃউঃমঃশিঃপঃ
শ্রেণী একাদশ শ্রেণী
MCQ  ৮০ টি।
SAQ ১২ টি।


একাদশ শ্রেণির বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস, দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মধ্যযুগের বাংলা সমাজ ও সাহিত্যের প্রধান ধারা থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ 


'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের পুথি কে আবিষ্কার করেন ?
Ans : বসন্তরঞ্জন রায়। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের পুথি কত সালে আবিষ্কৃত হয় ?
Ans : ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। 

কোন গ্রামে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন 'কাব্যের পুথি পাওয়া যায় ?
Ans : কাঁকিল্যা গ্রামে। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের পুথিতে মোট কয়টি খণ্ড আছে ?
Ans : ১৩ টি। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের পুথির প্রথম খন্ডের নাম কী ?
Ans : জন্ম খণ্ড। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের পুথির শেষ খন্ডের নাম কী ?
Ans : রাধাবিরহ। 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?
Ans : বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য মধ্যযুগের কোন পর্বের রচনা ?
Ans : প্রাকচৈতন্য পর্ব। 

মধ্যযুগের কোন মহাপুরুষ 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'কাব্যের রসাস্বাদন করেছিলেন ?
Ans : শ্রীচৈতন্যদেব। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'কাব্যের মূল নাম কী ছিল বলে অনুমান করা হয় ?
Ans : শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের দুতি চরিত্রের নাম কী  ?
Ans : বড়ায়ি। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর কোন খন্ডে কৃষ্ণ মজুরির বৃত্তি গ্রহণ করেছিলেন ?
Ans : ভারখণ্ড। 

প্রথম আবিষ্কারের সময় 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের ভূমিকা লিখেছিলেন কে ?
Ans : রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর কোন খন্ডে কৃষ্ণের বাঁশি শুনে রাধা বিরহতুরা হয়ে পড়েছিলেন ?
Ans : বংশী খন্ডে। 

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের প্রকাশকাল কত ?
Ans : ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ। 

কবি বিদ্যাপতি কোথাকার মানুষ ছিলেন ?
Ans : মিথিলা। 

কবি বিদ্যাপতিকে কী নামে অভিহিত করা হয় ?
Ans : মৈথিল কোকিল। 

অভিনব জয়দেব কাকে বলা হয় ?
Ans : বিদ্যাপতি। 

'পুরুষপরীক্ষা' গ্রন্থটি কার রচনা ?
Ans : বিদ্যাপতি। 

বিদ্যাপতি কোন সময়ের কবি ?
Ans : প্রাকচৈতন্য যুগের। 

বৈষ্ণব পদাবলীর আদি বাঙালি কবি কে ?
Ans : চন্ডীদাস। 

বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য কাকে বলা হয় ?
Ans : জ্ঞানদাস। 

চন্ডীদাসের ভাবশিষ্য কাকে বলা হয় ?
Ans : জ্ঞানদাস। 

গোবিন্দদাসের উপাধি কী ছিল ?
Ans : কবিরাজ। 

গোবিন্দদাস কোন যুগপর্বের কবি ?
Ans : চৈতন্যোত্তর যুগের। 

বিদ্যাপতি কোন রাজসভার কবি ছিলেন ?
Ans : মিথিলা। 

কোন কবি নিজেকে 'খেলনা কবি 'বলেছেন  ?
Ans : বিদ্যাপতি। 

মিথিলার রাজার প্রসস্তিমূলক বিদ্যাপতির একটি গ্রন্থের নাম কী ?
Ans : কীর্তিলতা। 

বিদ্যাপতি ধর্মমতে কী ছিলেন ?
Ans : শৈব। 

চন্ডীদাস ধর্মমতে কী ছিলেন ?
Ans : শাক্ত। 

দ্বিতীয় বিদ্যাপতি কাকে বলা হয় ?
Ans : গোবিন্দদাস। 

কোন কবি 'কবিরাজ' উপাধি লাভ করেছিলেন ?
Ans : গোবিন্দদাস। 

চৈতণ্যদেবের  জন্মসাল কত ?
Ans : ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দ। 

চৈতন্যদেব কার কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন ?
Ans : কেশব ভারতী। 

কত বছর বয়সে চৈতন্যদেব সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন ?
Ans : ২৪ বছর। 

শ্রেষ্ট চৈতন্য জীবনীমূলক কাব্যের নাম কী  ?
Ans : শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত। 

শ্রীচৈতন্যভাগবত গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?
Ans : বৃন্দাবনদাস। 

'চৈতন্যলীলার ব্যাস ' কাকে বলা হয় ?
Ans : বৃন্দাবনদাস। 

শ্রীচৈতন্যভাগবত গ্রন্থটি কয়টি খন্ডে বিন্যস্ত ?
Ans : ৩ টি। 

'শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত 'গ্রন্থটিতে কটি পরিচ্ছেদ আছে ?
Ans : ৬২ টি। 

বৃন্দাবনদাস কার কথায় তাঁর গ্রন্থটি লিখেছিলেন ?
Ans : নিত্যানন্দ মহাপ্রভু। 

চৈতন্যভাগবত গ্রন্থের পূর্ব নাম কী ছিল ?
Ans : চৈতন্যমঙ্গল। 

'চৈতন্যভাগবত ' গ্রন্থের  কোন খণ্ডটি অসম্পূর্ণ ?
Ans :   অন্ত্যখণ্ড। 

দ্বিজ বংশীদাসের কাব্যের নাম কী ? 
Ans : পদ্মাপুরান। 

মনসামঙ্গল কাব্যের সর্বাধিক পরিচিত কবি কে ? 
Ans : বিজয় গুপ্ত। 

প্রাকচৈতন্য যুগে কোন ধারার মঙ্গল কাব্য লিখিত হয়েছিল ?
Ans : মনসামঙ্গল। 

মনসামঙ্গল কাহিনীর নায়ক কে ছিলেন ?
Ans: চাঁদ সদাগর। 

কেতকাদাসের প্রকৃত নাম কী ?
Ans : ক্ষেমানন্দ। 

দ্বিজ মাধবের গ্রন্থটির নাম কী ?
Ans : সারদাচরিত। 

রূপরাম রচিত কাব্যটির নাম কী ?
Ans : অনাদ্য মঙ্গল। 

ইছাই ঘোষ কোন কাব্যের চরিত্র ?
Ans : ধর্মমঙ্গল। 

মুকুন্দ চক্রবর্তী প্রণীত কাব্যটির নাম কী ?
Ans : অভয়ামঙ্গল। 

'মৃগলুব্ধ ' কাব্যটি কোথাথেকে পাওয়া গিয়েছে ?
Ans : চট্টগ্রাম। 

শিবায়ন কাব্যধারায় শিবমঙ্গলের রচয়িতা কে ?
Ans : রামকৃষ্ণ রায়। 

দক্ষিণ রায় কোন মঙ্গলকাব্যের চরিত্র ?
Ans : রায়মঙ্গল। 

ঈশ্বরী পাখি কোন কাব্যের চরিত্র ?
Ans : অন্নদামঙ্গল। 

'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে '- উক্তিটির বক্তা কে ?
Ans : ঈশ্বরী পাটনী। 

ধনপতির পুত্রের নাম কী ?
Ans : শ্ৰীমন্ত। 

কৃত্তিবাসের রামায়ণ কটি কাণ্ডে বিন্যস্ত ?
Ans: সাতটি। 

কৃত্তিবাসী রামায়ণের মূলরস কোনটি ?
Ans : করুন। 

কৃত্তিবাসের কৌলিক পদবী কী  ছিল ?
Ans : উপাধ্যায়। 

কৃত্তিবাসের কাব্যের শ্লোকের সংখ্যা কত ?
Ans : ২৪০০ 

কৃত্তিবাসী রামায়ণে কোন ছন্দের প্রয়োগ লক্ষনীয় ?
Ans : পয়ার। 

মালাধর বসু কোন কাব্য অনুবাদ করেন ?
Ans : ভাগবত।  

মালাধর বসুর অনূদিত গ্রন্থটির নাম কী ?
Ans : শ্রীকৃষ্ণবিজয়। 

কাশীরাম দাসের মহাভারতের প্রকৃত নাম কী ?
Ans : ভারতপাঁচালী। 

জগদ্রাম রায় প্রণীত রামায়ণের নাম কী ?
Ans : অদ্ভুৎ। 

দৌলত কাজী রচয়িত কাব্যগ্রন্থটির নাম কী  ?
Ans : সতী ময়নামতী। 

দৌলত কাজী কোথাকার লোক ছিলেন ?
Ans :চট্টগ্রামের অন্তর্গত সুলতানপুরের। 

কার অনুরোধে দৌলত কাজী তাঁর কাব্য রচনা করেন ?
Ans : আশরফ খান। 

 লোর চন্দ্রানী কাব্যটির উৎস কী ?
Ans :ময়নাকো সত। 

আলাওয়েলের শ্রেষ্ঠ কাব্য গ্রন্থটির নাম কী ?
Ans : পদ্মাবতী। 

নাগমতী কোন কাব্যের চরিত্র ?
Ans : পদ্মাবতী। 

আলাওল কোন সময়ের কবি ছিলেন ?
Ans : সপ্তাদশ শতাব্দীর। 

আলাওল রোসাঙ্গের কোন রাজার সময় বর্তমান ছিলেন ?
Ans : শ্রীচন্দ্র সুধর্মা। 

পদ্মাবতী কীধরণের কাব্য ?
Ans : ইতিহাসাশ্রিত রোমান্টিক প্রণয় কাব্য। 

শাক্ত পদাবলী কোন সময়ে রচিত হয় ?
Ans : অষ্টাদশ। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে যে প্রথাটি যুক্ত ছিল তার নাম কী ?
Ans : কৌলীন্য প্রথা। 

শাক্ত পদাবলীতে জননী চরিত্রটির নাম কী  ?
Ans : মেনকা। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে কালীকীর্তনের রচয়িতা কে ?
Ans : রামপ্রসাদ। 

রামপ্রসাদ কত সালে দেহত্যাগ করেন ?
Ans : ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে। 

কোন গানটি লিখে রামপ্রসাদ ধনী জমিদারের মন আকর্ষণ করেছিলেন ?
Ans : আমায় দে মা তবিলদারি। 

'গিরি এবার আমায় উমা এলে এটি কোন পর্যায়ের পদ ?
Ans : আগমনি। 

'ওরে নবমী নিশি না হইও রে অবসান পদটির রচয়িতা কে ?
Ans : কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। 

একাদশ শ্রেণির বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস, দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মধ্যযুগের বাংলা সমাজ ও সাহিত্যের প্রধান ধারা থেকে গুরুত্বপূর্ণ SAQ 



১. চর্যাপদ বলতে কী বোঝা ?
 Ans :   বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাচার্যদের ধর্মতত্ত্ব ও সাধনতত্ব যে সুরযোগ্য পদসমূহের মধ্যে প্রহেলিকাচ্ছন্ন সন্ধ্যা ভাষায় লিখিত ; অন্তরঙ্গে দর্শনতত্ব ও বহিরঙ্গে কাব্যদ্যুতিময় রূপকধর্মী পদসমূহকে চর্যাপদ বলে। 

২. চর্যাপদের আবিস্কারক ,আবিস্কারকাল ,প্রকাশকাল , মুলপুথির নাম উল্লেখ কর। 
Ans :      মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। 
               ১১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ।
               ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ। 
              'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' । তিব্বতী অনুবাদ-পুথির সূত্রে এই নামটি পাওয়া যায়। সুকুমার সেন 'চর্যাগীতিকোষ' বলেছেন। 
 

৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কোথা থেকে , কী  নামে চর্যাপদদের পুথি প্রকাশ করেন ?
Ans :    ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে  ''বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ'। 
             'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা'। এই সংকলিত গ্রন্থে ছিল 'চর্যাচার্যবিনিশ্চয় ', 'সরোজবজ্রের দোঁহাকোষ ', 'কৃষ্ণচার্যের দোঁহাকোষ ' ও 'ডাকার্ণব'। 


৪. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রদত্ত চর্যাপদের নামউল্লেখ কর। চর্যাপদ কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল ?
Ans :    'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়'।  
               প্রত্ন-বাংলা। চর্যাগীতির ভাষা যে বাংলা তাহা বোঝা যায় এর মধ্যে ব্যবহৃত পদ, ইডিয়ম ,প্রবচন থেকে। এই ভাষা দুরূহ বলে এর পারিভাষিক নাম সন্ধ্যা ভাষা। 


৫. চর্যাপদের কবি ও পদসংখ্যা উল্লেখ কর। 
Ans :  মূল গানে ও টীকায় ২৩ জন কবির সন্ধান পাওয়া যায়। মুনিদত্তের 'নির্মলগিরা টীকা'-য় ২৩ জন কবির নাম থাকলেও ২৪ জন কবির ওপর টীকা লেখা হয়েছিল বলে কবি নিয়ে মতান্তর আছে। 
           পদের সংখ্যা ৫০। তিনটি সম্পূর্ণ ও একটি অংশত লুপ্ত হওয়ায় সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া যায়। 


৬. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি কে, কবে ,কোথা থেকে আবিষ্কার করেন ?
Ans :       প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ। 
                ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ( ১৩২৩ বঙ্গাব্দ ) ।
                বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোশালা থেকে কাব্যটি আবিষ্কৃত হয়। 


৭. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর শেষ পালাটি 'খণ্ড' বলে উল্লেখিত নয় কেন ?
Ans :   'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর শেষ পালায় দেখা যায় , বৃহত্তর কর্তব্যের অঙ্গীকারে বড়ু চন্ডীদাসের অসহিষ্ণু অথচ কর্তাব্যপ্রিয় নায়ক মধুর রসের আকরভূমি বৃন্দাবন ত্যাগ করে চলে যান। এরপর কৃষ্ণ মথুরায় রাধার মনোবাঞ্ছা পূরণের অভিপ্রায়ে ফেরেননি। ফলে 'রাধাবিরহ' শেষ পালা যা কাহিনীকে সম্পূর্ণ করেছে। তাই এ খণ্ড নয় ,সমাপ্তি। 


৮. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর তিনটি প্রধান চরিত্রের নাম লেখ। এ কাব্যের ওপরে কোন কোন গ্রন্থের প্রভাব আছে  ?
Ans :         'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর প্রধান তিনটি চরিত্র হল - ১। শ্রীকৃষ্ণ,  ২। শ্রীরাধা , ৩। বড়াই   । 
                  পদ্মাপুরান , বিষ্ণুপুরান , ব্রহ্ম বৈবর্তপুরান এবং মূলত জয়দেব গোস্বামীর  'গীতগোবিন্দম'-এর প্রভাব আছে। 


৯.বিদ্যাপতি কোন রাজসভায় , কাদের পৃষ্ঠপোষকতা পান ?
Ans :      'অভিনব জয়দেব ' বিদ্যাপতি মিথিলা রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। 
               দীর্ঘজীবী কবি বিদ্যাপতি মিথিলার ছ'জন রাজা যথাক্রমে , কীর্তি সিংহ ,দেব সিংহ , শিব সিংহ ,পদ্মসিংহ, নর সিংহ , ভৈরব সিংহের পৃষ্ঠপোষকতা পান। 


  ১০. কে,কোথায় নিজেকে 'খেলান কবি' বলেছেন ?
Ans :    সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রে সুপন্ডিত কবি বিদ্যাপতি নিজেকে 'খেলান কবি' বলেছেন। 
            অবহট্ট ভাষায় রচিত 'কীর্তিলীলা' কাব্যে। 


১১. বিদ্যাপতি ধর্মমতে কী ছিলেন ?
Ans :      বিদ্যাপতি ধর্মমতে শৈব ছিলেন। 
               এ সম্পর্কে লিখিত বিদ্যাপতির দুটি গ্রন্থ হল - ক) 'শৈবসর্বস্বসার',
                                                                                        খ) 'গঙ্গাবাক্যাবলী'। ১৪৪০ খ্রিস্টাব্দে পদ্মসিংহ ও                                                                                                বিশ্বাসদেবীর নির্দেশে  গ্রন্থ দুটি রচনা করেন।


১২. 'ব্রজবুলি' কী  ?
Ans :     ব্রজের ভাষা বা বুলি বজ্রবুলি নয়। বজ্রবুলি মিশ্র ভাষা। বাংলা, মৈথিল ও অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষার সংমিশ্রনে নির্মিত হয়। কৃত্রিম লেখ্য ভাষা বজ্রবুলি।  এটি পশ্চিমা অপভ্রংশের বা শৌরসেনীর বংশধর।   



Post a Comment

0 Comments