Higher Secondary Mock Test ||Philosophy ||তৃতীয় অধ্যায় ||বচনের বিরোধিতা

 Higher Secondary Mock Test ||Philosophy ||তৃতীয় অধ্যায় ||বচনের বিরোধিতা||Mcq & Saq ||Online Mock Test


বচনের বিরোধিতাঃ- একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয়ের দিক থেকে যদি পৃথক হয় ,তখন বচন দুটির পারস্পরিক সম্পর্ককে বচনের বিরোধিতা বলা হয় ।এক্ষেত্রে একটি বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব  থেকে অন্য একটি বচনের সত্যমুল্য নির্নয়  করা হয়। 


বিরোধিতার প্রকারভেদঃ- বচনের বিরোধিতা চার প্রকার। যথা- (1) বিপরীত বিরোধিতা ,(2) অধীন বিপরীত বিরোধিতা, (3) বিরুদ্ধ বিরোধিতা  এবং (4) অসম বিরোধিতা।


বিপরীত বিরোধিতা:- একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় যুক্ত দুটি সামান্য বচন যখন গুণের দিক থেকে পৃথক হয় ,তখন বচন দুটির পরস্পর সম্পর্ককে বিপরীত বিরোধিতা বলে ।যেমন A-E


অধীন বিপরীত বিরোধিতাঃ- উদ্দেশ্য ও বিধেয় যুক্ত দুটি বিশেষ বচন যখন গুণের দিক থেকে পৃথক হয় তখন বচন দুটি পরস্পরকে অধীন বিপরীত বিরোধিতা বলে যেমন -I-O.


বিরুদ্ধ বিরোধিতাঃ- উদ্দেশ্য ও বিধেয় যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয় তখন বচন দুটি পরস্পর বিরুদ্ধ বিরোধিতা বলা হয় যেমনA-O এবং E-O.


অসম বিরোধিতাঃ- একই উদ্দেশ্য বিধেয় ও গুণ থাকা সত্বেও দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন পরিমাণের দিক থেকে পৃথক হয় তখন বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে অসম বিরোধিতা বলা হয় যেমনA-Iএবং E-O.

              -:বিরোধ চতুস্কোণের বিভিন্ন রূপঃ- 

গতানুগতিক বিরোধ চতুস্কোণ:- গতানুগতিক যুক্তি বিজ্ঞানে চার প্রকার বিরোধিতাকে যে চতুষ্কোণের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় ,তাকে বলা হয় গতানুগতিক বিরোধ চতুস্কোণ ।

অ্যারিস্টটলীয় চতুষ্কোণ:- অ্যারিস্টটলের মতে, বিরোধিতা সম্পর্ক শুধুমাত্র দুটি ।যথা-বিরুদ্ধ বিরোধিতা এবং বিপরীত বিরোধিতা।এই বিরোধিতার সম্পর্ক তিনি যে চতুষ্কোণের সাহায্যে প্রকাশ করেছেন তাকে অ্যারিস্টটলের চতুষ্কোণ বলা হয়।

অতিবিরোধিতা ও অনুবিরোধিতা চতুষ্কোণঃ- এই মত অনুযায়ী বচনের বিরোধিতা মূলত পাঁচ প্রকার ।যথা -(1)অতিবিপরীত বিরোধিতা,(2)অনু-বিপরীত বিরোধিতা,(3) অসম বিরোধিতা এবং (4) বিরুদ্ধ বিরোধিতা।

                       -:বিরোধানুমান:- 

 সংজ্ঞা:-বিরোধিতা সম্বন্ধ আছে এমন দুটি নিরপেক্ষ বচনের একটি সত্য মিথ্যা থেকে অন্য বচনের সত্য- মিথ্যা সম্বন্ধে যে অনুমান করা হয়, তাকে বিরোধানুমান বলে।

 প্রকারভেদঃ- বিরোধানুমান মূলত চার প্রকার। যথা- (1)বিপরীত বিরোধানুমান,(2) অধীন -বিপরীত বিরোধানুমান, (3)অসম বিরোধানুমান এবং (4) বিরুদ্ধ বিরোধানুমান। 


(1)বিপরীত বিরোধানুমান:- একই উদ্দেশ্য বিধেয় যুক্ত দুটি সামান্য বচনের গুণ যখন পৃথক হয় ,তখন তাদের একটি সত্য- মিথ্যা থেকে অন্য বচনের সত্য-মিথ্যা  সম্পর্কে অনুমান করাকে বলা হয় বিপরীত বিরোধানুমান। 

সূত্র:- বিপরীত বিরোধানুমানে বচন দুটির মধ্যে একটি বচন সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে কিন্তু বিপরীত কথা সত্য নয়।

 (2)অধীন- বিপরীত বিরোধানুমান:- একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় যুক্ত দুটি বিশেষ বচনের গুণ যখন পৃথক হয়, তখন তাদের একটির সত্য-মিথ্যা  থেকে অন্যটির সত্য-মিথ্যা সম্বন্ধে যে অনুমান করা হয়,তাকে অধীন- বিপরীত বিরোধানুমান বলে। 

সূত্র এক্ষেত্রে দুটি বচন এর মধ্যে একটি বচন মিথ্যা হলে অন্য বচনটি সত্য হবে ।কিন্তু এর বিপরীত কথা সত্য নয়।

(3) অসম বিরোধানুমান:- অভিন্ন উদ্দেশ্য বিধেয়  ও গুণযুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের পরিমাণ পৃথক হয় তখন তাদের একটির সত্য- মিথ্যা থেকে অন্য একটি বচনের সত্য- মিথ্যা সম্পর্কে অনুমান করাকে অসম বিরোধানুমান বলা হয় ।

সূত্রঃ- এক্ষেত্রে দুটি নিয়ম আছে ।(এক) যদি সামান্য বচন সত্য হয় তাহলে তার অনুরূপ বিশেষ বচনটি সত্য হবে ।কিন্তু এর বিপরীত কথা সত্য নয়।

(দুই) যদি বিশেষ বচন মিথ্যা হয় তাহলে তার অনুরূপ সামান্য বচনটি অবশ্যই মিথ্যা হবে ।কিন্তু এর বিপরীত কথা সত্য নয়।

 বিরুদ্ধ বিরোধানুমান:- দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যখন গুণ ও পরিমাণ উভয় পৃথক হয় তখন তাদের একটি বচনের সত্য মূল্য থেকে অন্য বচনের সত্য মূল্য সম্পর্কে যে অনুমান করা হয় তাকে বিরুদ্ধ বিরোধানুমান বলে ।

সূত্রঃ- এক্ষেত্রে একটি বচন যদি সত্য হয় তবে তার অনুরূপ বচনটি মিথ্যা হবে ।আর যদি একটি বচন মিথ্যা হয় তবে অনুরূপ বচনটি সত্য হবে। 

বিরোধানুমান সম্পর্কে আবদ্ধ বচনের সত্যমুল্য নির্নয়ের ছক

A

E

I

O

T

f

t

F

f

T

F

t

u

F

T

u

F

u

u

T


Time's Up
score:

Total Questions:

Attempt:

Correct:

Wrong:

Percentage:

Post a Comment

0 Comments