MADHYAMIK HISTORY SUGGESTIONS||মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ||WBSSE REDUCE SYLLABUS অনুযায়ী তৈরি।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর মান-2
1- ইতিহাস কী বা ইতিহাস কাকে বলে ?
উত্তরঃ- ইতিহাস হল মানব সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক ক্রমবিবর্তনের কাহিনী গ্রন্থ ।যা থেকে অতীতের রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি মানুষের সামাজিক ,অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়
2 নতুন সামাজিক ইতিহাস কি?
উত্তরঃ- ইতিহাস চর্চায় রাজা-মহারাজা বা অভিজাত প্রভৃতি উচ্চবর্গীয় সমাজের মানুষ ছাড়াও সমাজের নিম্নবর্গের সাধারণ মানুষ, যেমন কৃষক-শ্রমিক ,নারী এমনকি সমাজের অবহেলিত প্রান্তিক মানুষদের কথাও গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়, তাকে নতুন সামাজিক ইতিহাস বলা হয়।
1960 থেকে 70 এর দশকে ইউরোপ আমেরিকাতে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার সূচনা হয় ।
3 আধুনিক ইতিহাস চর্চায় খেলাধুলার দুটি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর- খেলাধুলার গুরুত্বঃ-(i) এক জাতির আত্মপরিচয় ঘটে। (ii) জাতীয়তাবোধ গভীর হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় ।(iii)নারী জাতির অগ্রগতির কথা জানা যায়. দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ফুটে উঠ প্রভৃতি।
4- ভারতে কিভাবে ক্রিকেট খেলার সূচনা হয়?
উত্তর- ক্রিকেট খেলার সূচনাঃ- সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডের একটি গ্রামে ক্রিকেট খেলার সূচনা হলেও পরে তা ভারতে চালু হয় প্রথম দিকে ভারতে ইংরেজ সামরিক বাহিনী ক্লাবে, জিমে এই খেলা খেলতো। 1792 খ্রিস্টাব্দে তারা প্রতিষ্ঠা করে কলকাতা ক্রিকেট ক্লাব ।সারদারঞ্জন রায়চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বাঙ্গালীদের মধ্যে ক্রিকেট খেলা ছড়িয়ে পড়ে। সারদারঞ্জন প্রতিষ্ঠা করলেন টাউন ক্লাব। নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী ছিলেন।
5 কাকে কেন ভারতীয় হকির জাদুকর বলা হয়?
উত্তর -ভারতীয় হকির জাদুকরঃ- ভারতীয় হকি দলের ক্যাপ্টেনকে ভারতীয় হকির জাদুকর বলা হয় ।কারণ তার নেতৃত্বে 1934 খ্রিস্টাব্দে বার্লিন অলিম্পিকে ভারত জয় লাভ করে। তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের কাছ থেকে স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন ।তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় হকির অদ্ভুতপূর্ব উন্নয়ন ঘটে।
6 কত খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়?এই দল কবে আই এফ এ শিল্ড জয় লাভ করে ?
উত্তরঃ- সময়:-1889 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় । 1911 সালের 29 জুলাই ইংরেজ civil-military দের নিয়ে গঠিত রেজিমেন্টকে খালি পায়ে খেলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জয় লাভ করে।
7 ভারতে কবে কোথায় খো খো খেলার সূত্রপাত ঘটে?
উত্তর:-1914 খ্রিস্টাব্দে কোনো ক্লাবে প্রথম খেলার সূত্রপাত ঘটে। 1985 খ্রিস্টাব্দে খেলাটি ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতি লাভ করে।
8 গোবর গুহ কেন স্মরণীয়?
উত্তর:- গোবর গুহ:-উনিশ শতকে যে দুজন বাঙালি যুদ্ধে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন, আমেরিকা সানফ্রান্সিসকো শহরে এডলফ সেন্ট্রালকে হারিয়ে গোবর গুহ বিশেষ স্মরণীয় হয়ে ওঠেন ।
9-কোন খেলাকে কেন বাইশ গজের খেলা বলা হয়?
উত্তরঃ- বাইশ গজের খেলা ক্রিকেটঃ- খেলাটিকে বাইশ গজের খেলা বলা হয়। কারণ দুই প্রান্তের ক্রিকেটের মাঠের পিচের দৈর্ঘ্য 22 গজ বলে একে বাইশ গজের খেলা বলা হয়। 1709 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের গাছের সারিতে এর সূচনা ঘটলেও বর্তমানে এটি বিশ্বের জনপ্রিয় খেলা পরিণত হয়েছে
10- খাদ্যাভাসের ইতিহাস চর্চা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:-মানব জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো খাদ্য ।খাদ্য ভাষার পরিবর্তন ,মানব সভ্যতার অগ্রগতির পরিচয় দান করে ।আবার জলবায়ু ও পরিবেশজনিত কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভাস ভিন্ন ভিন্ন হয়। খাদ্যবৈচিত্র ইতিহাস ও উৎস উদঘাটনের জন্য খাদ্যাভাসের ইতিহাস চর্চায় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে।
11 সরলা দেবী চৌধুরানী কেন স্মরণীয় ?
উত্তর সরলা দেবী চৌধুরানী :-তিনি ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ।স্বর্ণকুমারী দেবী এবং জানকীনাথ ঘোষালের দ্বিতীয় কন্যা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী পন্ডিত রামভঞ্জ দত্ত চৌধুরীর পত্নী ।স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিক রূপে নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ রূপে ভারতী পত্রিকার সম্পাদক রূপে ,সুলেখিকা রূপে ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
12-"letters from a father to his daughter "- এর বিষয়বস্তু কি ?
উত্তরঃ-1928 খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদে থাকাকালীন জহরলাল নেহেরু তার 10 বছরের কন্যা ইন্দিরাকে ত্রিশটি মতান্তরে 28 টি চিঠি লেখেন ।এগুলির সংকলন "লেটার্স ফ্রম এ ফাদার টু হিজ ডটার"-নামে পরিচিত ।চিঠি গুলিতে জহরলাল তার মেয়ে ইন্দিরাকে প্রকৃতি-পরিবেশ ,পৃথিবীর সৃষ্টি, প্রাণের আবির্ভাব ,মানুষের জন্ম প্রভৃতি সম্পর্কে গল্পচ্ছলে শিক্ষা দিয়েছিলেন ।
13- ইন্টারনেট কাকে বলে?
ইন্টারনেটঃ-অনেকগুলি বিধর্মী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ পরিবর্তন করে তাকে সংক্ষেপে ইন্টারনেট বলে। এটি কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা ।শুধুমাত্র ব্যক্তিগত চিঠি পত্র সংবাদ আদান-প্রদান বা ব্যবসায়িক যোগাযোগই নয়, জ্ঞান- বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম।
14 -আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের কি পরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তর- সরকারি নথিপত্রঃ- আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সরকারি নথিপত্র। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- (এক) সরকারি প্রতিবেদন ও বিবরণ (দুই) সরকারি চিঠিপত্র ডায়েরী ও কাগজপত্র (তিন) গোয়েন্দা রিপোর্ট ও পুলিশ রিপোর্ট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সরকারি মহাফেজ খানা গুলিতে এই জাতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
15- সত্তর বৎসর জীবনী গ্রন্থ কবে রচিত হয় ?এটি কবে প্রকাশিত হয় ?
উত্তর সত্তর বৎসর :-জীবনী গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন জাতীয়তাবাদী চরমপন্থী নেতা বিপিনচন্দ্র পাল। 1924 খ্রিস্টাব্দে রচিত হয় ।প্রথমে 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও 1955 সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন বা টিকা মান 4
1 নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য লেখো।
-উত্তর-
ভূমিকাঃ যে ইতিহাস চর্চায় রাজা-মহারাজা ,অভিজাত প্রভৃতি উচ্চপদের কার্যকলাপ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি ছাড়াও সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা গুরুত্বসহকারে লেখা হয়, তাকে নতুন সামাজিক ইতিহাস বলা হয়। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আমেরিকাতে এর সূত্রপাত ঘটে।
বৈশিষ্ট্যঃ- নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার কতগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ।যেমন-
(1) সাধারণ মানুষ প্রাধান্যঃ- এই ধরনের ইতিহাসে মুষ্টিমেয় উচ্চবর্গে শুধু নয় সমাজের বৃহত্তর জনসাধারণ, নিম্নবর্গের ও প্রান্তিক মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি ,অর্থনীতি, ধর্ম, শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা ,পরিবেশ ইত্যাদি গুরুত্ব লাভ করেছে।
(2) ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর সমাজঃ- নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় সমাজের নিম্ন শ্রেণীর শ্রমিক মজুরদের ইতিহাস আলোচনার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর সমাজের আলোচনাকে তুলে ধরা হয়েছে।
(3) সংশোধনবাদঃ- নতুন সামাজিক ইতিহাস হল এক ধরনের ঐতিহাসিক সংশোধনবাদ ।প্রচলিত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভৃতির একটি বিকল্প সংশোধনবাদী মতবাদ। এতে উঁচুতলার মানুষের বদলে সাধারণ মানুষের আলোচনা গুরুত্ব লাভ করেছে।
(4) ইতিহাস চর্চায় বৈচিত্রঃ- নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চা ইতিহাসের বৈচিত্রকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখানে মানুষের কাজকর্ম, জীবনযাত্রা, খেলাধুলা ,পোশাক-পরিচ্ছদ, শিল্প-সংস্কৃতি, গান বাজনা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় স্থান লাভ করেছে ।
মন্তব্যঃ- গতানুগতিক ও প্রথাগত ইতিহাস চর্চার স্থানে নতুন সামাজিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির চর্চার ফলে নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হওয়া ও বিষয়বৈচিত্র্য থাকায় তা বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে।
------
2- আধুনিক ইতিহাস চর্চায় খেলাধুলা কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ?
- উত্তর -
ভূমিকাঃ- আধুনিক ইতিহাস চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খেলাধুলা। প্রাচীনকাল থেকে খেলাধুলা শরীরচর্চা ও বিনোদনের মাধ্যম রুপে প্রচলিত থাকলেও বিশ শতকে খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে।
খেলাধুলার গুরুত্ব (1 )জাতির আত্মপরিচয়ঃ কোন দেশের খেলাধুলা সেদেশের জনগণের আত্মপরিচয় দান করে ।এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ইত্যাদি ফুটে উঠে। জাতীয়তাবোধে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে জনগণের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে । ফলে জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ প্রভৃতি ভাবগুলি ফুটে ওঠে। যেমন- 1911 সালে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে 2 -1 গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জয় করে ।এর মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবোধ বৃদ্ধি পায়।
(2)একতা বৃদ্ধিঃ- আন্তর্জাতিক খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ দেশের খেলোয়াড়দের বিজয়লাভের আনন্দ উপভোগ করে। এতে ঐক্যবদ্ধ মনোভাব গড়ে ওঠে ও ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় হয়।
(3 )নারীর অগ্রগতিঃ-খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ থেকে সে দেশের নারী অগ্রগতি ও নারী স্বাধীনতার কথা জানা যায়।
(4) পারস্পরিক সম্পর্কঃ- দুটি দেশ বা একাধিক দেশের মধ্যে খেলাধুলার আয়োজন হলে সেই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি আরো দৃঢ় হয়। দুটি দেশের মধ্যে সংকীর্ণ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের অবসান ঘটে।
মন্তব্যঃ- খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা থেকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের খেলার নাম,বিখ্যাত খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব, বিভিন্ন খেলার কৌশল ইত্যাদির কথা জানা যায়। বিভিন্ন কারণে তাই খেলাধুলা আধুনিক ইতিহাস চর্চায় গুরুত্ব লাভ করেছে।
--------
3. নারী ইতিহাসের উপর একটি টীকা লেখো।
অথবা
আধুনিককালে নারী ইতিহাস চর্চা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
- উত্তর -
ভূমিকাঃ-সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশে নারীর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হলেও পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা হয়ে উঠেছে অবহেলিত । যুগে যুগে নারীর ভূমিকা কি ছিল তার চর্চা বর্তমানকালে শুরু হয়েছে । নারীর গুরুত্বকে তুলে ধরার ইতিহাস চর্চাকে বলা হয় 'নারী ইতিহাস চর্চা'।
নারী ইতিহাসের সূত্রপাত ও প্রসারঃ- ইউরোপীয় ঐতিহাসিকরা উপলব্ধি করেন যে, নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি তাদের মর্যাদা ও অবস্থানের পর্যালোচনা প্রয়োজন । তাই তারা 1970 এর দশকে নারীবাদী ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত ঘটান । বর্তমানে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী ইতিহাস চর্চা গুরুত্ব লাভ করেছে।
নারী ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্যঃ- নারী ইতিহাস চর্চার কতগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ।যেমন -
পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশোধনঃ- সভ্যতার ইতিহাসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও নারী তার প্রাপ্য ও যোগ্য সম্মান পায়নি। অবহেলিত উপেক্ষিত নারীর সম্মান এবং পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশোধন করার লক্ষ্যেই নারী ইতিহাস চর্চা শুরু হয় ।
অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠাঃ-নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো নারীর অধিকার আদায় করা ও নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
নারী নির্যাতনের অবসানঃ- যুগে যুগে দেশে দেশে নারীরা হয়েছে নির্যাতনের অত্যাচারের ও সামাজিক প্রথার শিকার নারী ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের অবসান ঘটানো এর প্রধান বৈশিষ্ট্য
সামাজিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণঃ- কোনো দেশে নারীরা কতটা সামাজিক-রাজনৈতিক আর্থিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ভোগ করে ,সেদেশের নারী ইতিহাস চর্চা থেকেই তা জানা যায়।
নারীবাদী আন্দোলনঃ- নারীবাদের উদ্ভব, নারীবাদী আন্দোলনের অগ্রগতির কথা নারী ইতিহাস চর্চা থেকেই জানা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কথা নারীর ইতিহাস চর্চা থেকে জানা যায়।
● নারী ইতিহাস চর্চার বিষয়ক গ্রন্থঃ-বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীবাদী ইতিহাস চর্চা বিষয়ক গ্রন্থ রচিত হয়েছে ।যেমন- "উইমেন ইন মডার্ন ইন্ডিয়া" নীরা দেশাই এর লেখা। " ভয়েস উইথ ইন"- মালবিকা করের লেখা । "ভারতের নারী মুক্তি আন্দোলন"- হিরণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রভৃতি।
মন্তব্য:- উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় পুরুষশাসিত সমাজে নারী তার যোগ্য সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে । নারী ইতিহাস চর্চাকে সে দিক থেকে সংশোধনবাদী ইতিহাস চর্চা বলা হয়।
-------
আরো পড়ো:- ●এই অধ্যায়ের MCQ CLICK HERE
0 Comments