সহজেই শিখুন আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম||দর্শনের চতুর্থ অধ্যায়||অমাধ্যম অনুমান

 Hello, আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী  সহজেই শিখুন আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম||চতুর্থ অধ্যায়||অমাধ্যম অনুমান        দর্শনের চতুর্থ অধ্যায়ঃ  অমাধ্যম অনুমান । এই অধ্যায় থেকে আবর্তন ও বিবর্তন নির্ণয় 8 মার্কের প্রশ্ন আসে । তাই সঠিকভাবে অনুশীলন বা চর্চা করলে আবর্তন-বিবর্তন সহজেই করা সম্ভব তোমাদের সুবিধার্থে অমাধ্যম অনুমান অধ্যায়টির সারাংশ ও নিয়মাবলী দেওয়া হল। 


Hello, my dear students,  easily learn the rules of rotation evolution . From this chapter comes the question of 8 marks in determining rotation and evolution. Therefore, if you practice it properly, it is possible to make rotation easily. For your convenience, the summary and rules of the chapter are given. 


 তুমি কী আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম জানো? দেখে নাও 


অনুমানঃ- ভাষায় প্রকাশিত চিন্তাকেই অনুমান বলা হয়। অনুমান মূলত দুই প্রকার। যথা-(1) অবরোহ অনুমান বা যুক্তি,(2) আরোহ অনুমান বা যুক্তি ।এই অধ্যায়ে অবরোহ অনুমান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


অবরোহ অনুমান:- যে অনুমানে সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা কখনোই যুক্তিবাক্যের তুলনায় অধিক হয় না, তাকে অবরোহ যুক্তি বলে।



আরোহ যুক্তি:- যে যুক্তিতে সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা যুক্তিবাক্যের তুলনায় অধিক ব্যাপ্য হয়,তাকে আরোহ যুক্তি বলে।


অবরোহ অনুমানের শ্রেণীবিভাগঃ- অবরোহ অনুমানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-(1) অমাধ্যম অনুমান,(2) মাধ্যম অনুমান।


অমাধ্যম অনুমান:- যে অবরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনোই হেতু বাক্যের থেকে অধিক ব্যাপ্য হয় না, তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।


উদাহরণ সকল ফুল হয় সুন্দর(A)

. ' . কোন কোন সুন্দর বস্তু হয় ফুল(I)


মাধ্যম অনুমান:- যে অবরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি একাধিক হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা কখনোই হেতু বাক্যের তুলনায় বেশি হয় না, তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।


 উদাহরণঃ- সকল মানুষ হয় মরণশীল(A)

                   সকল কবি হয় মানুষ(A)

               .'. সকল কবি হয় মরণশীল(A)


আবর্তন:- যে অমাধ্যম অনুমানে গুনের পরিবর্তন না ঘটিয়ে ন্যায়সঙ্গত ভাবে আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদকে যথাক্রমে সিদ্ধান্তের বিধেয় ও উদ্দেশ্য পদে পরিণত করা হয়, তাকে আবর্তন বলা হয়।


আবর্তন করার নিয়মাবলী:- আবর্তন করার চারটি নিয়ম আছে ।যথা- 

(1) যুক্তিবাক্যের  উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তে বিধেয় রূপে বসবে ।

(2) যুক্তিবাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য রূপে বসবে ।

(3) যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন এক হবে ।অর্থাৎ যুক্তিবাক্য হ্যাঁ বাচক হলে সিদ্ধান্ত হ্যাঁ বাচক হবে এবং যুক্তিবাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে।

(4) যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য নয়, সে পদ কখনোই সিদ্ধান্তে  ব্যাপক হতে পারে না।

 


নিরপেক্ষ বচনের আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম টেবিল অনুযায়ী:-


আবর্তনীয়

আবর্তিত

A

I

E

E

I

I

O

সম্ভব নয় 


আবর্তন এর শ্রেণীবিভাগ:- আবর্তন মূলত দুই প্রকার। যথা:- (1) সরল আবর্তন,(2) অসরল বা সীমায়িত আবর্তন।


সরল আবর্তন:- যে আবর্তনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও উদ্দেশ্যর গুণ ও পরিমাণ অভিন্ন হয়, তাকে সরল আবর্তন বলে। যেমনঃ- E বচনে সরল আবর্তন E, আবার I বচনের সরল আবর্তন I


 অসরল আবর্তনঃ- যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তে পরিমাণ পৃথক হয়, তাকে অসরল আবর্তন বলে। যেমন A বচনের অসরল আবর্তন I  হয়।



বিবর্তন যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হিসেবে গৃহীত হয় এবং যুক্তিবাক্যের বিধেয়টির বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয় হিসেবে গ্রহণ করে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের অর্থ এক রাখা হয়, তাকে বিবর্তন বলে ।এক্ষেত্রে আসলে বাক্যকে বিবর্তনীয় আর সিদ্ধান্তকে বিবর্তিত বলা হয়। 


আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম। নিরপেক্ষ বচনের বিবর্তন এর নিয়মাবলী:- বিবর্তনের নিয়ম চারটি :-

যথা:-

(1) যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য এক হবে।

(2) যুক্তিবাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে। (এক্ষেত্রে 'অ' যোগ করে বিরুদ্ধ পদ গঠন করা হয়।) 

(3) যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্ত গুন ভিন্ন হবে। অর্থাৎ যুক্তিবাক্য যদি সদর্থক হয় তবে সিদ্ধান্ত নঞর্থক  হবে।  আবার  যুক্তিবাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে। 

(4)যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে। অর্থাৎ যুক্তিবাক্যের পরিমাণ সামান্য হলে সিদ্ধান্তের পরিমাণও সামান্য হবে এবং বিশেষ হলে সিদ্ধান্তের পরিমাণও বিশেষ হবে।


■ নিরপেক্ষ বচনের বিবর্তন:-

বিবর্তনীয়

বিবর্তিত

A

E

E

A

I

O

O

I



বস্তুগত বিবর্তনঃ- যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় বচনের আকারগত বিবর্তন না করে তার অর্থের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে বচনের বিবর্তন করা হয়, তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।বস্তুগত বিবর্তন এর প্রবক্তা হলেন তর্ক বিজ্ঞানী।


 উদাহরণঃ- গ্রীষ্ম হয় কষ্টদায়ক।(বিবর্তনীয়)

           . • . শীত হয়  আরামদায়ক।( বিবর্তিত)


কোন বাক্যকে তর্ক বিজ্ঞান সম্মত আকারে পরিণত করে আবর্তন বিবর্তন করার নিয়ম অনুসারে দৃষ্টান্ত( example of reducing a sentence into logical form and its conversion)


1.গরু স্তন্যপায়ী।

L.F:-সকল গরু হয় স্তন্যপায়ী (A)-আবর্তনীয়                                                                                                 .'. কোনো কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণী হয়গরু(I)আবর্তিত


2. কোনো শিক্ষক মুর্খ নন।


 L.F:-কোনো শিক্ষক নন মুর্খ (E)আবর্তনীয়

.'.কোনো মুর্খ ব্যক্তি নন শিক্ষক (E)আবর্তিত


3.অধিকাংশ ভারতীয় ধার্মিক।   


  L.F:-কোনো কোনো ভারতীয় হয় ধার্মিক(I)আবর্তনী 

.'.কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তিহয়ভারতীয়(I)আবর্তিত


4.সৎ ব্যবসায়ী কদাচিৎ দেখা যায়।   

  

L.F :-কোনো কোনো ব্যবসায়ী নয় সৎ(0)আবর্তনীয়

             আবর্তন সম্ভব নয়।


5.রোহিত ভালো ছেলে।   

                                

L.F:-রোহিত হয় ভালো ছেলে(A)আবর্তনীয়                                                                                        .'.ভালো ছেলে হয় রোহিত (A)আবর্তিত


6.সততা মহান গুন।     


 L.F: সততা হয় মহান গুন(A) আবর্তনীয়    

       .'.  মহান গুন হয় সততা(A)আবর্তিত7 


7.সব বাক্য বচন নয়।


L.F:-কোনো কোনো বাক্য নয় বচন(O)আবর্তনীয়   

                আবর্তন সম্ভব নয় ।


8.একটি ছাড়া সব আম মিষ্টি।      


L.F:-কোনো কোনো আম হয় মিষ্টি (I)আবর্তনীয়


.'. কোনো কোনো মিষ্টি ফল হয় আম (I)আবর্তিত


9.যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি।


L.F:- সকল ধূমপান ক্ষেত্র হয় বহ্নিমান (A)আবর্তনীয়

.'.কোনো কোনো বহ্নিমান ক্ষেত্র হয় ধূমবান(A)আবর্তিত


10 .গোলাকার ত্রিভুজ নেই।  

                        

 L.Fকোনো ত্রিভুজ নয় গোলাকার (E)আবর্তনীয়   


.'. কোনো গোলাকার বস্তু নয় গোলাকার (E)আবর্তিত

আরো পড়ো:-




Post a Comment

0 Comments