মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল||পঞ্চম অধ্যায় চতুর্থ পরিচ্ছেদ||ভারতের জলবায়ু প্রশ্ন উত্তর

বি:দ্রঃ- মাধ্যমিকের আঞ্চলিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায়ের চতুর্থ পরিচ্ছেদঃ ভারতের জলবায়ু থেকে  সংক্ষিপ ও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নউত্তর  দেওয়া হল। 


● ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করার জন্য নৈর্ব্যক্তিক ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর পড়ার পাশাপাশি আমাদের ব্যাখ্যামূলক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পড়তে হবে তাই আমরা এই অধ্যায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ ও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নউত্তর তুলে ধরলাম।


● তোমরা যারা 2022 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য আমরা নিয়মিত প্রকাশ করছি "DAILY PRACTICE SET"- যেগুলি চর্চা করলে তোমরা নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করতে পারবে। তাই এই অধ্যায়ের উপর একটি কুইজ সেট দেওয়া হল ।


সম্ভাব্য সংক্ষিপ বা ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর তুলে দেওয়া হল চতুর্থ পরিচ্ছেদ ভারতের জলবায়ু থেকে  মান-2/3



1 আবহাওয়া কাকে বলে?


উত্তর- কোনো নির্দিষ্ট স্থানের অনির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা, আদ্রতা, বায়ুর চাপ ,বায়ুপ্রবাহ ,মেঘের অবস্থা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয় ।যা সর্বদা পরিবর্তিত হতে পারে।


2-জলবায়ু কাকে বলে?



উত্তর- কোনো স্থানের বা কোনো একটি বড় অঞ্চলের প্রায় 30 থেকে 40 বছরের আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে। কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বছরের পর বছর প্রায় একই রকম থাকে ।অর্থাৎ 50- 60 বৎসর ধরে কোন রকম পরিবর্তন হয় না।


3-লু কাকে বলে?



উত্তর- গরমকালে অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসে উত্তর ভারতের রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা,দিল্লি অংশে দিনের বেলায় অত্যাধিক শুষ্ক ও উষ্ণ বায়ু শোঁ শোঁ করে প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত হয়, এরূপ বায়ুকে লু বলে ।এর ফলে উষ্ণতা 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই বায়ুর প্রভাবে বহু গবাদি পশু ও মানুষ মারা যায়।


3- আঁধি কাকে বলে?


উত্তর- রাজস্থান মরুভূমি অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে যে ধূলিঝড় হয়, স্থানীয় ভাষায় তাকে আঁধি বলে । এই ঝরে বৃষ্টি হয় না বলে প্রচুর ধুলোবালি পড়ে ।তবে এই ঝড়ে উষ্ণতা কিছুটা কমে।


4-চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলতে কী বোঝো?



 উত্তর- যে ধরনের জলবায়ুতে শীতে বেশি শীত আর গরমে প্রচণ্ড গরম পরে সেই জলবায়ুকে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে। সাধারণত সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে এই ধরনের জলবায়ু দেখা যায়।


5-মৌসুমী বায়ু কাকে বলে?


 উত্তর- মৌসুমী বায়ু হলো এক ধরনের সাময়িক বায়ু। যা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরস্পরের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। গ্রীষ্মকালে এই বায়ু সমুদ্র থেকে স্থল ভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থল ভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এ বায়ু প্রবাহিত হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৌসুমী বায়ুর বিচরণক্ষেত্র ।


6-দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলতে কী বোঝো ?


উত্তর- গ্রীষ্মকালে অধিক উষ্ণতায় ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশে যে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় ,তার প্রভাবে দক্ষিণের সমুদ্রের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মৌসুমী বায়ু ভারতে প্রবেশ করে ।ফেরেলের সূত্র অনুসারে  বায়ু ডান দিকে বেঁকে ভারতে প্রবেশ করে বলে একে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে।


7- উত্তর -পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলতে কী বোঝো?


 উত্তর- সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে ভারতে স্থলভাগের তুলনায় ভারত মহাসাগরের উপর তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে স্থলভাগের উপর উচ্চচাপ এবং জলভাগের উপর নিম্নচাপ অবস্থান করে। এই সময়ে বায়ু স্তলভাগ থেকে জল ভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না। তাই শুষ্ক বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, একে উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলে।এই বায়ুর  প্রভাবে করমন্ডল উপকূলে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়। 


8-মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে?



 উত্তর -গ্রীষ্মকালে শেষের দিকে উত্তর পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ আদ্র দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আকস্মিকভাবে পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে । এই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবাহ পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ভারতের মালাবার উপকূলে বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে ভারতে বর্ষাকালের সূচনা করে। তাই একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলা হয়।


9- বৃষ্টিছায়া অঞ্চল কাকে বলে ?


উত্তর- ভারতের অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হয় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু যখন পাহাড়ে বাধা পায়। বাধাপ্রাপ্ত বায়ু কিছুটা উপরে উঠে শীতল হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু এই বায়ু যখন পাহাড়ের উল্টোদিকের ঢালে পৌঁছায় তখন সেখানে বৃষ্টিপাত কম হয়।তাই বিপরীত পাশের পাহাড়ের ঢাল বা অনুবাদ ঢাল অঞ্চলকে বৃষ্টিছায়া অঞ্চল বলা হয় ।যেমন ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব এবং মেঘালয়ের গারো খাসি জয়ন্তিয়া পাহাড়ের উত্তর ঢাল হলো বৃষ্টিছায়া অঞ্চল।


10-পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাকে বলে?



উত্তর- শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প বহন করে নিয়ে আসে দুর্বল নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত ।এর প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজস্থান হরিয়ানা পাঞ্জাব রাজ্যের শীতকালীন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া হয় এবং মাঝে মাঝে এই অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত ও পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হয়। 25 ডিগ্রি থেকে 35 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণবাতকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বলে।


11-এল নিনো কী?


 উত্তর- স্পেনীয় শব্দ এল নিনো এর অর্থ দুষ্টু ছেলে। সাধারণত ক্রিস্টমাসের সময় উষ্ণ স্রোত আবির্ভাব হলে স্থানীয় অধিবাসীরা একে শিশু খ্রীষ্ট নামে অভিহিত করে। এল নিনো হল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে মাঝে মাঝে দেখা দেওয়া অস্থির ও অনির্দিষ্ট প্রকৃতির দক্ষিণমুখী উষ্ণ স্রোত । প্রত্যেক 4 থেকে 7 বছর অন্তর এল নিনোর আগমন ঘটে ।এল নিনোর বছরগুলিতে ভূপৃষ্ঠের কোথাও প্রচন্ড খরা আবার কোথাও ব্যাপক ঝড় -বৃষ্টি হয়।


12-'লা নিনা' কী?


 উত্তর -শব্দটি এল নিনোর স্ত্রী প্রতীককে বোঝায়। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে এবং পূর্ব ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। এটি একটি শক্তিশালী বাণিজ্য বায়ু এবং এর উষ্ণতা কম ।প্রত্যেক তিন থেকে সাত বছর অন্তর আবির্ভাব ঘটে।



 আঞ্চলিক ভূগোলঃ "ভারতের জলবায়ু" চতুর্থ পরিচ্ছেদ থেকে কুইজের 10 টি প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো 


Time's Up
score:

Total Questions:

Attempt:

Correct:

Wrong:

Percentage:





আরো পড়ো-
প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর পেতে CLICK HERE 




Post a Comment

0 Comments