বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহের সংক্ষিপ পরিচয়||প্রশ্ন ও উত্তর অনুশীলন ||


Para Suna:- বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহ, যেমন- চুয়াড় বিদ্রোহ,মুন্ডা বিদ্রোহের পরিচয়, সংজ্ঞা বা কাকে বলে প্রভৃতি তুলে ধরা হয়েছে । এছাড়াও এই অধ্যায় থেকে প্রায় ছয়-শাতটি ছোট প্রশ্ন আসে। তাই নিবিড় অনুশীলন প্রয়োজন ।অধ্যায়টি খুঁটিয়ে পড়ার পর নৈর্ব্যক্তিক ও এক বাক্যে প্রশ্ন উত্তর গুলি দেখবে । তাছাড়া শূন্যস্থান পূরণ করো , স্তম্ভ মেলাও, ব্যাখ্যা বিবৃতিও এই অধ্যায় থেকে আসে। মূলত নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর গুলি জানা থাকলে বাকি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই তোমাদের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ও এক বাক্যে উত্তর দাও প্রশ্নগুলি আলোচনা করা হলো।


বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহ|| মাধ্যমিক ইতিহাস। তৃতীয় অধ্যায়ঃ প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ এর সারসংক্ষেপ। 



উপনিবেশিক অরণ্য আইনঃ- আদিবাসী উপজাতি সম্প্রদায় হলো ভারতের প্রাচীন বাসিন্দা ।কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা বনভূমি পরিষ্কার করে তাকে বসবাস ও আবাদযোগ্য জমিতে পরিণত করে। ঔপনিবেশিক সরকার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ভারতীয় অরণ্য আইন প্রণয়ন করেন 1865 ও 1878 খ্রিস্টাব্দে ।সেইজমিকে সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত করলে এবং তার ওপর রাজস্ব আরোপ করলে তারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এর ফলস্বরূপ ভারতের ইতিহাসে বহু আদিবাসী বা উপজাতীয় বিদ্রোহ লক্ষ করা যায় ।যেমন সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ, রংপুর বিদ্রোহ ,চুয়াড় বিদ্রোহ ,সাঁওতাল বিদ্রোহ, মুন্ডা বিদ্রোহ ,ওয়াহাবি আন্দোলন ,ফরাজি আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ ও পাবনা বিদ্রোহ প্রভৃতি ।


 

বিদ্রোহ অভ্যুত্থান ও বিপ্লবঃ- প্রচলিত ব্যবস্থার ।, জন্য ঘটলেও এগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে ।যেমন -


বিদ্রোহঃ- কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রচলিত কোনো ব্যবস্থার অঃধ প্রতিবাদ জানানো হোক বা বিরোধিতা করা এবং আআদাবি আদায়ে চেষ্টাই হলো বিদ্রোহ ।এটি এককভাবে আবার সমম্ষ্টগত ভাবে ,শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে।
 যেমন -চুয়াড় বিদ্রোহ, রংপুর বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ ইত্যাদি।



অভ্যুত্থানঃ- অভ্যুত্থান হলো সমষ্টিগত ও সশস্ত্র আন্দোলন। দেশের বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে সম মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ এতে যোগদান করে ।যেমন 1857 সালের সিপাহী বিদ্রোহ 1946 সালের নৌ বিদ্রোহ।



 বিপ্লবঃ-বিপ্লব হল কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন । দেশের অধিকাংশ মানুষই এতে যোগদান করেন ।এটি শান্তিপূর্ণ বা হিংসাশ্রয়ী উভয় পদ্ধতিতে হতে পারে। যেমন ফরাসি বিপ্লব, ফেব্রুয়ারি বিপ্লব , শিল্প বিপ্লব প্রভৃতি ।


বিভিন্ন বিদ্রোহের পরিচয়ঃ-



চুয়াড় বিদ্রোহঃ- উপনিবেশিক শাসন শোষণের বিরুদ্ধে ভারতে যে সমস্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয় আদিবাসী চুয়াড় বিদ্রোহ তার মধ্যে অন্যতম। বিদ্রোহের দুটি পর্বে সংগঠিত হয় যত 1767 খ্রিস্টাব্দে জগন্নাথ সিংহ 1798 খ্রিস্টাব্দে রায়পুরের জমিদার দুর্জন সিংহ  ও মেদিনীপুরে রানী শিরোমণির নেতৃত্বে ।সরকার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিদ্রোহ দমন করে।


রংপুর বিদ্রোহঃ- 1783 খ্রিস্টাব্দে পূর্ণিয়ার শাষকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নুরুল উদ্দিনের নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের কৃষকরা যে, আন্দোলন গড়ে তোলে, তা রংপুর বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ইংরেজ সেনাপতি ম্যাকডোনাল্ড অত্যন্ত নিশৃংসভাবে আন্দোলন দমন করলেও পরবর্তী আন্দোলন গুলির প্রেরণা যোগায়।


কোল বিদ্রোহঃ- 1831 32 খ্রিস্টাব্দে বিহারের ছোটনাগপুরের রাঁচি, মালভূম, সিংভূম , হাজারীবাগ প্রভৃতি অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বহিরাগত অর্থাৎ ইংরেজ জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে  যে আদিবাসী আন্দোলন গড়ে তোলে,তা কোল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। বুদ্ধুভগত, সুই মুন্ডা, জোয়া ভগত প্রমুখের নেতৃত্বে আন্দোলন তীব্র হলে ক্যাপ্টেন উইলসন গোলন্দাজ বাহিনীর সাহায্যে আন্দোলন দমন করে ।

 ভিল বিদ্রোহঃ- 1819 খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রের নেতা ত্রিম্বকজির প্রেরণায় ও শিউরামের নেতৃত্বে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পাদদেশে খান্দেশ অঞ্চলের উপজাতিরা যে আন্দোলন গড়ে তোলে সেটি ভিল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এই বিদ্রোহ দমন করেন।


সাঁওতাল বিদ্রোহঃ- কোম্পানি, সরকার ও তার সহযোগী জমিদার মহাজন প্রমুখের শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব, ডোমন মাঝি, কালো প্রমাণিকের নেতৃত্বে 1855 সালের 30 শে জুন বিহারের ভাগনা ডিহির মাঠে এক বিদ্রোহ শুরু হয় এটি সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।



মুন্ডা বিদ্রোহ:- 1899 খ্রিস্টাব্দের 24 শে ডিসেম্বর উপজাতি নেতা বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ছোটনাগপুর  ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে যে বিদ্রোহ সংঘটিত হয়, তা মুন্ডা বিদ্রোহ বা উলগুলান বা ভয়ঙ্কর বৃষ শৃঙ্খলা নামে পরিচিত ছিল। অরন্যের ওপর চিরাচরিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিল এই বিদ্রোহের উদ্দেশ্য  1900 খ্রিস্টাব্দে 9 জানুয়ারি সইলরাকার পাহাড়ের যুদ্ধে তারা পরাজিত হলে  বিদ্রোহের অবসান ঘটে।



সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহঃ- 1763 থেকে 1 800 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ,ফরিদপুর কোচবিহার মালদহ অঞ্চলের কৃষকরা , সন্ন্যাসী ও মাদারি সম্প্রদায়ভুক্ত ফকিরদের নেতৃত্বে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন, এটি সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সন্ন্যাসী ও ফকিরদের উপর বিভিন্ন ধরনের কর চাপিয়ে দিলে আন্দোলন শুরু হয়, ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী ,মজনু শাহ, চেরাগআলী প্রমুখেরা নেতৃত্ব দেন।


ভারতে ওয়াহাবী আন্দোলনঃ' ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য আরবের আব্দুল ওয়াহাব নামের এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি একটি আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁর নাম অনুসারে এই আন্দোলনের নাম রাখা হয় ওয়াহাবি আন্দোলন। ভারতীয় মুসলমানরা হজ করতে গিয়ে এর দ্বারা প্রভাবিত হন তারা ভারতে ফিরে এসে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক্ষেত্রে দিল্লি ওয়ালি আল্লাহ রায়বেরেলি সৈয়দ আহমেদ বাংলার তিতুমীর এর ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।





বারাসাত বিদ্রোহঃ- 1831 খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের নেতৃত্বে 24 পরগনা জেলার বারাসাত মহাকুমার একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয় এটি বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত। কোম্পানির কর্মচারীদের নীলকরদের শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের অবসান ঘটানোর জন্য তিনি একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে জেহাদ ঘোষণা করেন কিন্তু ইংরেজদের কামানের আঘাতে তার বাঁশের কেল্লা  ধ্বংস হয়ে যায়। 




পাগলাপন্থী বিদ্রোহঃ-  1825-27 খ্রিস্টাব্দে টিপু পাগলাদের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর পরগনার গারো উপজাতির লোকেরা এক বিদ্রোহ শুরু করে। এটি পাগলাপন্থী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। 1887 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের হাতে বন্দি ও আজীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত হলে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে। 



 ফরাজি আন্দোলন:- বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলার হাজী শরীয়ত উল্লাহ ইসলাম ধর্মকে কুসংস্কারমুক্ত করার জন্য ফরাজি আন্দোলনের সূচনা করেন। তার এই আন্দোলন ক্রমে রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে এই আন্দোলন জমিদার ও নীলকর বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। তার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দুদু মিঁয়া বা মোঃ মহসিন এই আন্দোলনের রাজনৈতিক চরিত্র লাভ করে।



 নীল বিদ্রোহ :-বাংলায় নীলকর সাহেবদের শাসন-শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিষ্ণুচরন বিশ্বাস, দিগম্বর বিশ্বাস, রফিক মন্ডল কাদের মোল্লা রাম রতন মল্লিক প্রমুখের নেতৃত্বে 1859 60 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এটি নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। নদীয়া জেলার চৌগাছা গ্রামে বিদ্রোহের সূচনা ঘটলেও যশোর-খুলনা পাবনা ফরিদপুর মুর্শিদাবাদ রাজশাহী দিনাজপুর মালদহ প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 


---------------------------------------------------

বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহ এর MCQপ্রশ্ন ও উত্তর অনুশীলন ||

---------------------------------------------------



1-কোম্পানির শাসনে বাংলার প্রথম আদিবাসী বিদ্রোহ কোনটি?


 উত্তর- চুয়াড় বিদ্রোহ।


2- চুয়াড় বিদ্রোহের প্রথম সূচনা কবে হয়েছিল?


 উত্তর 1767 খ্রিস্টাব্দে।


3- প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্বদান কে করেছিলেন?


 উত্তর -জগন্নাথ ধল ।


4-চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা কবে হয়েছিল ?


উত্তর- 1798 সালে ।


5-আদিবাসী চুয়াড় বিদ্রোহের সূচনা কোথায় হয়?


 উত্তর- জঙ্গলমহল অঞ্চলে।


6- দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?


উত্তর- দুর্জন সিং।


7-ধাদকার শ্যামগঞ্জ কোন বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ?


উত্তর- চুয়াড় বিদ্রোহ ।


8-চুয়াড় বিদ্রোহের সময় ভারতের বড়লাট কে ছিলেন?


 উত্তর- লর্ড ওয়েলেসলি।


9- রানী শিরোমণি কোন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দান করেছিলেন?


 উত্তর- চুয়াড় বিদ্রোহ।


 10-দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ দমন করেছিলেন কোন ইংরেজ সেনাপতি?


 উত্তর -ক্যাপটেন মর্গান।


11-পাইকরা কোন বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?


 উত্তর- চুয়াড় বিদ্রোহ।



12- মেদিনীপুরের চুয়ার অধ্যুষিত অঞ্চল কে কী বলা হত?


 উত্তর- জঙ্গল মহল ।


13-রংপুর বিদ্রোহ কবে সংঘটিত হয়েছিল?


 উত্তর- 1783 সালে।


14- রংপুর বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?


 উত্তর- নুরুল উদ্দিন ।


15- রংপুর বিদ্রোহের সময় কোম্পানির ইজারাদার কে ছিলেন?


 উত্তর- দেবী সিংহ ।


16-কোল বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?


 উত্তর -বুদ্ধু ভগত ও জোয়া ভগত ।


17-কোল বিদ্রোহের সূচনা কবে হয়েছিল ?


উত্তর- 1831 সালে।


18- লর্ড কর্নওয়ালিস 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' কবে চালু করেন?


 উত্তর- 1793 সালে।


19- চাইবাসার যুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষে কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?


 উত্তর- রোগসেস।


20- কোল বিদ্রোহ দমনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোন ব্রিটিশ সেনাপতি ?


উত্তর-উইলকিনসন।


21-সুই মুন্ডা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোন বিদ্রোহে?


 উত্তর -কোল বিদ্রোহে।


22-কোল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল কোথায় ?


উত্তর- ছোটোনাগপুরে।


23- কোলদের ঐতিহ্য বিরোধী প্রথা কোনটি?


 উত্তর- আফিম চাষ ।


24-কোলরা বিদ্রোহের সূচনা করতে কী বাজিয়ে?


 উত্তর- ঢাঁক বাজিয়ে ।


25- সাঁওতাল বিদ্রোহ কবে সংঘটিত হয়েছিল?


 উত্তর- 1855 -56 সালে ।


26-'দিকু' শব্দের অর্থ কী?


উত্তর- বহিরাগত ব্যবসায়ী।


27- "দামিন-ই-কোহ"- কথাটির অর্থ কী?


উত্তর- পাহাড়ে প্রান্তদেশ।


28- "হুল"- শব্দটি দিয়ে কী বোঝানো হতো ?


উত্তর-সাঁওতাল বিদ্রোহকে।


29- সিধু ,কানহু, চাঁদ, ভৈরব, ডোমন মাঝি ,কালো প্রমাণিক কোন বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?


উত্তর -সাঁওতাল বিদ্রোহ।


30- কেনারাম ও বেচারাম বাটখারা কারা ব্যবহার করত?


উত্তর- বিদেশী ব্যবসায়ীরা ।


31-সাঁওতাল বিদ্রোহের অবসান কবে ঘটে?


উত্তর- 1856 সালে।


32- সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রতীক কী ছিল?


উত্তর- শাল গাছ।


 33- 'উলগুলান'-শব্দটি কোন বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিল?


 উত্তর- মুন্ডা বিদ্রোহ ।


34-সাঁওতাল বিদ্রোহে কত জন প্রাণ হারিয়েছিল?


 উত্তর- 23000 বিদ্রোহী ।


35-সাঁওতাল বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা 30 জুন কোথায় একত্রিত হয়েছিল?


 উত্তর- ভাগনা ডিহির মাঠে ।


36-সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু  কার বিশ্বাসঘাতকতায় ধরা পড়েছিলেন? 


 উত্তর- ভাগনা মাঝি।


37- সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা কানহুর কী শাস্তি হয়েছিল?


 উত্তর ফাঁসি ।


38-সাঁওতাল বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে কে পরাজিত হয়েছিলেন?


 উত্তর -ইংরেজ সেনাপতি মেজর বারোস।


39- ব্রিটিশ সেনাপতি টমাস ও এডওয়ার্ডস কোন বিদ্রোহে নিহত হয়েছিলেন?


 উত্তর -সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহে।


40- কোন উপন্যাস থেকে সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা জানা যায়?


 উত্তর- আরণ্যক।


41- সাঁওতালি ভাষায় "গিরা" কথাটির অর্থ কী?


 উত্তর- শাল গাছের ডাল।


42-ভারতে প্রথম অরণ্য আইন কবে পাস হয়?


 উত্তর 1865 সালে।


43- দ্বিতীয় ভারতীয় অরণ্য আইন কবে পাস হয়?


 উত্তর- 1878 সালে ।


44-মুন্ডা বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?


 উত্তর- বিরসা মুন্ডা।


45-মুন্ডা বিদ্রোহ কবে শুরু হয়েছিল ?


উত্তর -1899 সালে।


46- কে নিজেকে 'ধরতি আবা' বলে দাবি করে?


 উত্তর- বিরসা মুন্ডা।


47-মুন্ডা সমাজে জমির মালিকানা কে কী বলা হত?


উত্তর-খুৎকাঠি প্রথা। 


48-সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের সূচনা কবে হয়েছিল?


 উত্তর -1763 সালে।


49- কোথায় সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল?


উত্তর ঢাকাতে।


50- ভবানী পাঠক কোন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?


 উত্তর -সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহে।


51- বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাস থেকে সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের কথা জানা যায় ?


উত্তর- আনন্দমঠ ।


52-বাংলাদেশের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ কোনটি ?


উত্তর- সন্ন্যাসী -ফকির বিদ্রোহ।


53- 'ওয়াহাবি'র কথাটির অর্থ কী?


 উত্তর- নবজাগরণ।


54- ওয়াহাবি আন্দোলনের সূত্রপাত কোথায় হয়েছিল?


 উত্তর- আরবে ।


55-'দার- উল- হারব'- কথাটির অর্থ কী?


 উত্তর- বিধর্মীদের দেশ ।


56-বাংলাদেশের ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?


 উত্তর -তিতুমীর।


57- বারাসাত বিদ্রোহ কবে সংঘটিত হয়েছিল?


উত্তর-  1831 সালে।


58- তিতুমীরের প্রকৃত নাম কী ছিল?


 উত্তর- মীর নিসার আলী ।


59-বাঁশের কেল্লা কে তৈরি করেছিলেন?


 উত্তর - তিতুমীর।


60- দুদুমিয়াঁর আসল নাম কী ছিল ?


উত্তর -মোহাম্মদ মহসীন ।


61-পাগলাপন্থী বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?


উত্তর- টিপু শাহ।


62- নীল বিদ্রোহের সূচনা কবে হয়েছিল ?


উত্তর-1859 সালে ।


63-নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কারা?


 উত্তর -বিষ্ণুচরন বিশ্বাস  ও দিগম্বর বিশ্বাস।


64- নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা কে ?


উত্তরঃ দীনবন্ধু মিত্র ।


65-'দাদন'- কথাটির অর্থ কী?


 উত্তর -অগ্রিম অর্থ নেওয়া।


66- নীলদর্পণ নাটকটি ইংরেজিতে কে অনুবাদ করেন?


 উত্তর- মধুসূদন দত্ত ।


67-নীলদর্পণ নাটকটি কার নামে প্রকাশিত হয়েছিল?


 উত্তর :-রেভারেন্ড জেমস লং এর নামে ।


68-নীল কমিশন কবে গঠিত হয়েছিল?


 উত্তর- 1860 সালে ।


69-পাবনা বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?


 উত্তর -ঈশান চন্দ্র রায়।


70-পাবনা বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল? 


উত্তর- বাংলায়।


---------------------------------------------------------------

 বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহের সংক্ষিপ পরিচয়||SAQ উত্তর সহ। মান-1

---------------------------------------------------------------


1-কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি সরকার অরণ্য সনদ বা ফরেস্ট অ্যাক্ট পাস করেন?

উত্তর -1855 খ্রিষ্টাব্দের কোম্পানি সরকার অরণ্য সনদ বা ফরেস্ট অ্যাক্ট পাস করেন।

2-দুর্জন সিংহ কে ছিলেন ?

উত্তর- দুর্জন সিংহ ছিলেন বাঁকুড়া জেলার রায়পুরের জমিদার ও দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা।

3-কাকে মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ বলা হয়?

 উত্তর- রানী শিরোমণিকে মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ বলা হয়। 

4- পাইক কাদের বলা হয় ?

উত্তর -ইংরেজ শাসনের পূর্বে জমিদার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বিশ্বস্ত ও দুর্ধর্ষ আধাসামরিক বাহিনী কে বলা হত পাইক।


5-ছোট বাউ ও বড় বাউ কী?

 উত্তর- ছোট বাউ হলো কম ওজনের এবং বড় বাউ হলো বেশি ওজনের বাটখারা।

6-মহেন্দ্রলাল দত্ত কে ছিলেন ?

উত্তর -মহেন্দ্রলাল দত্ত ছিলেন দিঘি থানার অত্যাচারী দারোগা।

7-উলগুলান শব্দের অর্থ কী?

 উত্তর -উলগুলান শব্দটির অর্থ হলো ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খলা বা প্রবল বিক্ষোভ বা বিরাট তোলপাড়।


8-কে নিজেকে ধরতি আবা বা পৃথিবীর পিতা ঘোষণা করেন?

উত্তর- বিরসা মুন্ডা নিজেকে ধরতি আবা বা পৃথিবীর পিতা বলে ঘোষণা করেছিলেন।


9-বিরসা মুন্ডার আরাধ্য দেবতার নাম কী?

 উত্তর -বিরসা মুন্ডার আরাধ্য দেবতা ছিল সূর্য দেবতা।

10-সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ কত দিন চলেছিল?

 উত্তর -প্রায় চল্লিশ বছর ধরে সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ চলেছিল।

11-দার - উল - ইসলাম কথাটির অর্থ কী?

 উত্তর- দার-উল- ইসলাম কথাটির অর্থ হল ইসলামের দেশ বা ধর্মরাজ্য।

12-দুদুমিয়া কে ছিলেন ?

উত্তর- দুদুমিয়া ছিলেন হাজী শরীয়ত উল্লাহের পুত্র ও ফরাজি আন্দোলনের নেতা।

13-পাগলা পন্থী কাদের বলা হয়?

উত্তর -ফকির করিম শাহ এর ধর্মমতের অনুগামীদের পাগলাপন্থী বলা হয়।

14-কত খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে?

 উত্তর- 1863 খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে


আরো পড়ো-

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জানতে CLICK HERE ( ( M.P M.P geography)

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর জানতেCLICK HERE (M.P Bengali)

মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ জানতে CLICK HERE (M.P ব্যাকরণ)

Post a Comment

0 Comments