একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান।।অষ্টম অধ্যায়ঃ সরকারের বিভিন্ন রূপ।।MCQ & SAQ

 পড়াশোনা:-একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অষ্টমঃ অধ্যায়ঃ সরকারের বিভিন্ন রূপ ,MCQ & SAQ- দেওয়া হলো। একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রশ্ন-উত্তরগুলো সাজানো হয়েছে। তবে প্রতি বছরের জন্য এই প্রশ্ন উত্তর-গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ঃ থেকে চারটি MCQ ও  একটি রচনাধর্মী প্রশ্ন থাকবে, মোট12 নম্বর।


 ⃞গতবছর পরীক্ষা না হলেও এবছর কিন্তু পরীক্ষা নেবে।তাই মনোযোগ ধরে রাখতে হবে।পরীক্ষা হয়ত স্থগিত হয়ে যেতে পারে,যদি ওমিক্রন এর প্রভাব ক্রমশ বাড়তেই থাকে।কিন্তু কোনমতেই পরীক্ষা বাতিল হবে না।তাই আমাদের হাতে সময় খুব কম।এই অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক প্রিপারেশন নিতে হবে।রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর pdf ফাইল আকারে তোমাদের দেওয়া হলো। যা তোমাদের প্রস্তুতি নিতে অনেক সহায়তা করবে।

এছাড়াও আমরা আলোচনা করেছি একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ঃ MCQ & SAQ, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর ,একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায়ঃ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ,উচ্চমাধ্যমিক -একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ MCQ & SAQ, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায়ঃ MCQ, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়ঃ MCQ & রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর প্রভৃতি। 


একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ,অষ্টম অধ্যায়ঃ সরকারের বিভিন্ন রূপ 



বিষয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান 
অধ্যায়ঃ অষ্টমঃ সরকারের বিভিন্ন রূপ 
শ্রেণী একাদশ 
MCQ20 টি 
রচনাধর্মী একটি 



Q ➤ সংবিধান অনুযায়ী ভারত কীরূপ দেশ?


Q ➤ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় কোন শাসন ব্যবস্থায়?


Q ➤ কার মতে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা হল একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা কর্তৃক আইনগত ক্ষমতার স্বাভাবিক ব্যবহার?


Q ➤ যুক্তরাষ্ট্রে কয়টি সরকারের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়?


Q ➤ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রাধান্য পায় কোন বিভাগ?


Q ➤ আত্মকেন্দ্রিক সরকারের একটি গুণের উল্লেখ করো।


Q ➤ একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশের নাম লেখ।


Q ➤ ভারতে বর্তমানে কয়টি বিষয় কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত?


Q ➤ ভারতকে একটি যুক্তরাষ্ট্র বলে চিহ্নিত করেছেন কে?


Q ➤ একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত রাষ্ট্রের নাম লেখ?


Q ➤ সংসদীয় ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা দায়িত্বশীল থাকে কার কাছে?


Q ➤ আইন ও শাসন বিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা যায় কোন শাসন ব্যবস্থায়?


Q ➤ ভারতের শাসন ব্যবস্থায় নামসর্বস্ব শাসক কাকে বলা হয়?


Q ➤ ''সরকার হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান বা যন্ত্র , যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়"- বক্তা কে?


Q ➤ মন্ত্রিসভা পরিচালিত সরকারি ক্যাবিনেট কার কাছে দায়িত্বশীল থাকে?


Q ➤ সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার দেশ হিসেবে পরিচিত কোন রাষ্ট্র?


Q ➤ ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় বর্তমানে কোন বিশেষ প্রবণতা দেখা যায়?


Q ➤ ভারতে কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতা বণ্টনের জন্য মোট কয়টি তালিকা রয়েছে?


Q ➤ শিক্ষা ভারতের কোন তালিকাভুক্ত


Q ➤ পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান কোন দেশের আছে ?


1 -যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কী বোঝো? এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

                              উত্তরঃ 


 যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার:- যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। যেমন:- মন্টেস্কু বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা হল এমন একটি চুক্তি যার মাধ্যমে সমজাতীয় কয়েকটি রাষ্ট্র একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের  অন্তর্ভুক্ত সদস্য। আবার অধ্যাপক কে.সি  হোয়ার বলেছেন যে , শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে এমনভাবে ক্ষমতার বন্টন করা হয় , যাতে উভয়ের সরকার নিজ নিজ এলাকায় স্বাধীনভাবে কার্য পরিচালনা করতে পারে, এরূপ সরকারকে  যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলে।

                        এই সংজ্ঞাগুলির ভিত্তিতে বলা যায় যে, দুটি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গঠিত হয়। (১) এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র- কতগুলি রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় (২) সংহতি সাধনের মাধ্যমে কতগুলি রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করে।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য:- যুক্তরাষ্ট্রের কতগুলি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।যেমন -


দুটি সরকারের উপস্থিতি:- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় দুটি সরকার থাকে।  (এক) কেন্দ্রীয় সরকা (দুই) রাজ্য সরকার। সারা দেশের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকে আবার অঞ্চলের বা এলাকার শাসনের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে থাকে।


লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান:- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার  অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের উপস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যুগ্ম তালিকায় যে ক্ষমতাগুলি বন্টন করা হয় তা সুস্পষ্টভাবে।


বিচার ব্যবস্থার উপস্থিতি:- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের উপস্থিতি।অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে মিমাংসা হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে ।


সংবিধানের প্রাধান্য:- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য থাকে। এই সংবিধানকে কেন্দ্র সরকার ও  রাজ্য সরকার খেয়ালখুশিমতো পরিবর্তন করতে পারে না। পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা করতে হয়।


দ্বৈত নাগরিকতার অস্তিত্ব:- যে শাসন ব্যবস্থায় নাগরিক দেশের ও রাজ্যের নাগরিকত্ব পায় ,তাকে দ্বৈত নাগরিক বলে। দ্বৈত নাগরিকত্বের অস্তিত্ব দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায়।


দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা:- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- দুটি কক্ষের আইনসভা অর্থাৎ উঁচু ও নিম্ন কক্ষ লক্ষ্য করা যায়। তবে এরূপ শাসন ব্যবস্থায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের অপরিহার্য মৌলিক বৈশিষ্ট্য নয়।


অঙ্গরাজ্যের স্বতন্ত্র সংবিধানঃ- যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো -দেশের যেমন একটি সংবিধান থাকে তেমনি অঙ্গরাজ্য গুলির পৃথক ও আলাদা সংবিধানের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। 



2. এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণ করো।


                         - উত্তর -


এককেন্দ্রিক সরকার:- ক্ষমতা বন্টনের ভিত্তিতে সরকারকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- এককেন্দ্রিক সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার। এককেন্দ্রিক সরকার বলতে এমন এক শাসনব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে যাবতীয় ক্ষমতা একটিমাত্র সরকারের হাতে থাকে। অধ্যাপক গার্নারের মতে, যে শাসন ব্যবস্থায় সমস্ত ক্ষমতা সংবিধানের মাধ্যমে একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকে, তাকে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা বলা হয়।

এক কথায় বলা যেতে পারে যে, এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার শীর্ষে থাকে একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার। কোন কোন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সরকার থাকলেও তাদের বিশেষ অস্তিত্ব থাকে না।



 এককেন্দ্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য:- আঁখোকেন্দ্রিক সরকারের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য গুলি হল-


কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় দেশের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা। তবে শাসনকার্য পরিচালনার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার কতকগুলি আঞ্চলিক সরকারের উপর দায়িত্ব অর্পণ করতে পারেন।


কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রাধান্য:- অধ্যাপক ডাইসির মতে, কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রাধান্য এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। কেন্দ্রীয় আইনসভা এরূপ শাসন ব্যবস্থার সর্ব কর্তৃত্বের অধিকারী।


সুপরিবর্তনীয় সংবিধান:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান সহজেই পরিবর্তন করা যায়। তাই একে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়। কারণ এক্ষেত্রে কেবলমাত্র আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে সংবিধান সংশোধিত হয়। এর জন্য কোনো বিশেষ ধরনের পদ্ধতি অবলম্বনের প্রয়োজন হয় না।


লিখিত বা অলিখিত সংবিধান:- এককেন্দ্রিক সরকারের সংবিধান লিখিত বা অলিখিত- দুই হতে পারে। যেমন -বৃটেনের সংবিধান প্রধানত লিখিত। অন্যদিকে চিন, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের সংবিধান লিখিত।


বিচার বিভাগের দুর্বলতা:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য না থাকায় বিচারবিভাগ দুর্বল। সংবিধানের অভিভাবক এবং ব্যাখ্যা কর্তা হিসেবে বিচার বিভাগের গুরুত্ব এরূপ শাসন ব্যবস্থায় অস্বীকৃত। প্রকৃতপক্ষে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় আইন বিভাগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।


এক নাগরিকত্ব স্বীকৃত:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় এক নাগরিকত্বের নীতি অনুসৃত হয়। যেমন গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে আঞ্চলিক সরকারের অধীনস্থ নাগরিকদের জন্য আলাদা কোনো নাগরিকত্ব নেই।



অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:- এই বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও এককেন্দ্রিক সরকারের আরো কতকগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যেমন- সার্বভৌমিকতার প্রাধান্য, নিম্নকক্ষের অনুপস্থিতি, ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ, দ্বৈত নাগরিকত্ব অস্বীকার প্রভৃতি।




 আরো পড়ো :- 

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ,ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ MCQ & SAQ


একাদশ শ্রেণীর দর্শন প্রথম MCQ & SAQ



Post a Comment

0 Comments