মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল ||দ্বিতীয় অধ্যায় ||ব্যাখ্যামূলক ও বড় প্রশ্ন উত্তর


পড়াশোনা:- মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ব্যাখ্যামূলক ও বড় প্রশ্ন উত্তর। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রশ্ন - উত্তর  সাজানো হয়েছে। তবে প্রতি বছরের জন্য এই প্রশ্ন উত্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার্থীরা খুজে চলেছে - ভারতের ভূপ্রকৃতি বড় প্রশ্ন উত্তর/ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর/ আঞ্চলিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর/ মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর/ দশম শ্রেণির ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর  প্রভৃতি

■ নির্দিষ্ট সূচীতেই নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষা হবে। গরমের ছুটির পরেই প্রিটেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে। তাই তোমাদের কথা ভেবেই আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন ও উওর দেওয়া হলো। বার্ষিক পরীক্ষায় 99% সম্ভাবনা আসার। 


বিষয় মাধ্যমিক ভূগোল 
অধ্যায় দ্বিতীয়:- ভারতের ভূপ্রকৃতি 
প্রশ্ন   সংক্ষিপ , ব্যাখ্যামূলক ও রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর 
মান  2 , 3 ও 5 নম্বরের। 
 শ্রেণী   মাধ্যমিক। 




মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর                                        মান-2


১. দুন কী ?

উঃ - শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের উপত্যকাকে দুন বলা হয়। এগুলি দীর্ঘ সংকীর্ণ হয়। তবে এগুলি প্রায় সমতল প্রকৃতির। 


২. তরাই কাকে বলে ?

উঃ - তারাই শব্দের অর্থ হল ''স্যাঁতস্যাতে ভূমি ''  ,শিবালিক পর্বতের পাদদেশের ঘন অরণ্যাবৃত স্যাঁতস্যাতে অঞ্চলকে তারাই বলে। এখানকার ভূমি যথেষ্ট নুড়ি বালি ও কাঁকড়া দ্বারা গঠিত। এর গড় উচ্চতা ১০০ থেকে ১৫০ মিটার। 


৩. মালনাদ কাকে বলে?


উ- মালনাদ শব্দের অর্থ হলো "উঁচু নিচু ভূমি ভাগ" বা "পাহাড়ি দেশ"। কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিম অংশের উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো ভূভাগকে মালনাদ বলা হয়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 300 কিমি এবং চওড়া 35 কিমি।  এটি একটি ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি।


৪. ময়দান কী? 

উঃ- ময়দান শব্দের অর্থ হলো অনুচ্চ ভূমিভাগ। কর্ণাটক মালভূমির পূর্বের অনুচ্চ ঢেউ খেলানো ভূমিভাগকে ময়দান বলে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি সমপ্রায় ভূমি।যা গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত।


৫. পশ্চিমঘাট পর্বতমালার প্রধান তিনটি গিরিপথের নাম লেখো।


উঃ- পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উল্লেখযোগ্য তিনটি গিরিপথ হল- (i) থলঘাট (ii) ভোরঘাট ও (iii) পালঘাট  ।


৬. গিরিপথ কাকে বলে?

উঃ- দুটি পর্বতের বা গিরির মধ্যবর্তীতে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া সংকীর্ণ পথকে গিরিপথ বলা হয়। যেমন- বানিহাল, জোজিলা, নাথুলা গিরিপথ প্রভৃতি।


৭. পর্বত গ্রন্থি কাকে বলে?

উঃ- যে উঁচু জায়গা থেকে একাধিক পর্বতশ্রেণী বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত হয়, তাকে পর্বত গ্রন্থি বলে। যেমন- পামির গ্রন্থি।এই গ্রন্থি থেকে হিমালয়, কারাকোরাম, সুলেমান প্রভৃতি পর্বতশ্রেণী বিস্তার লাভ করেছে।


৮. ভাবর কাকে বলে?


উঃ- গাঙ্গেয় বদ্বীপের উত্তর প্রান্তকে ভাবর বলে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অংশের মাটি, বালি ও নুড়িপূর্ণ এবং সছিদ্র।  নদীবাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকর দ্বারা গঠিত এই অংশে ছোট ছোট নদী এসে ভূগর্ভে প্রবেশ করে হারিয়ে যায়।


৯. বেট কাকে বলে?

উ- গাঙ্গেয় সমভূমির নবীন পলিযুক্ত অঞ্চলের মাটিকে পাঞ্জাবে বেট বলা হয়। এই অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর ও কৃষিকাজের পক্ষে খুবই সহায়ক।


১০. তাল কী?


উ- কুমায়ুন হিমালয়ে হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়ের ফলে বহু অবনত অংশের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে এই অবনত অংশে জল জমে  হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে। এই হ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় তাল বলা হয়। যেমন- নৈনিতাল, ভীমতাল, সাততাল প্রভৃতি।


মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর             মান- 3


১. ভারতের পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম উপকূলের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।


উঃ-  পার্থক্যঃ- ভারতের পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম উপকূলের মধ্যে কতকগুলি পার্থক্য দেখা যায়। যেমন-

অবস্থানগতঃ- পশ্চিম উপকূলের সমভূমি পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ও আরব সাগরে মাঝে অবস্থিত। আবার পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি পূর্বঘাট পর্বতমালা ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত।

উচ্চতা ও চওড়াঃ- পূর্ব উপকূলীয় সমভূমির উচ্চতা তুলনামূলকভাবে অধিক এবং এটি বেশ সংকীর্ণ গড়ে ৮০ কিমি। কিন্তু পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি অপেক্ষাকৃত কম উঁচু তবে বেশ চওড়া গড়ে ১০০ কিমি।

হ্রদ ও উপহ্রদঃ- পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমিতে হ্রদ- উপহ্রদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে পূর্ব উপকূলীয় সমভূমিতে হ্রদ -উপহ্রদের সংখ্যা কম।

অন্যান্য পার্থক্যঃ- এছাড়াও পশ্চিম উপকূলে বন্দরের সংখ্যা বেশি, পূর্ব উপকূলে বন্দরের সংখ্যা কম।আবার পশ্চিম উপকূলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়, কিন্তু পূর্ব উপকূলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। পশ্চিম উপকূলে খনিজ সম্পদের পরিমাণ কম কিন্তু পূর্ব উপকূলে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে।


২. মালনাদ ও ময়দানের মধ্যে পার্থক্য লেখো।


উঃ-  পার্থক্য- মালনাদ ও ময়দানের মধ্যে কতকগুলি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন- 


অর্থগতঃ- মালনাদ শব্দের অর্থ হলো উঁচু নিচু ভূমি বা পাহাড়ি দেশ । কিন্তু ময়দান শব্দের অর্থ হলো অনুচ্চ ভূমিভাগ।


অবস্থানঃ- কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিম অংশের নাম মালনাদ। তবে কর্ণাটক মালভূমির পূর্ব অংশের নাম ময়দান।


প্রকৃতিঃ- মালনাদ হল ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি। আবার ময়দান হলো সমপ্রায় ভূমি।


উচ্চতাঃ- মালনাদের উচ্চতা ময়দানের তুলনায় বেশি। কিন্তু ময়দানের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম।


উপরিভাগঃ- মালনাদ মালভূমির উপরিভাগ উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো ।আবার ময়দানের উপরিভাগ সমতল প্রকৃতির।


৩. ভাঙ্গড় ও খাদার এর মধ্যে চারটি পার্থক্য লেখ।


উঃ-  পার্থক্য- ভাঙ্গর ও খাদার মৃত্তিকার মধ্যে কতকগুলি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন-


প্রকৃতিঃ- উচ্চ গঙ্গা সমভূমির প্রাচীন পলি মাটি দ্বারা গঠিত, কিছুটা উচ্চ সমতল ভূমি ।আবার খাদার উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমির নবীন পলি মাটি দ্বারা গঠিত নিম্নভূমি।


বন্যার প্রভাবঃ- ভাঙ্গর অংশে বন্যার প্রকোপ কম। কিন্তু খাদার অংশে প্রায় প্রতি বছর বন্যায় নতুন পলি সঞ্চিত হয়।


উর্বরতাঃ- ভাঙ্গর কৃষিকাজের পক্ষে ততোটা উপযোগী নয়। তবে খাদার কৃষিকাজের পক্ষে খুবই উপযোগী কারণ এটি উর্বর।


অপর নাম- পাঞ্জাবে ভাঙ্গরের অপর নাম 'ধায়া'। কিন্তু পাঞ্জাবে খাদারের অপর নাম বেট


৪. পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালার মধ্যে পার্থক্য লেখো।


উঃ- পার্থক্যঃ- পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালার মধ্যে কতকগুলি বিষয়ের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন-


অবস্থানঃ- পশ্চিমে আরব সাগরের উপকূল বরাবর বিস্তৃত পশ্চিমঘাট পর্বতমালা । আবার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বিস্তৃত পূর্বঘাট পর্বতমালা।


অপর নামঃ- পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অপর নাম সহ্যাদ্রি। কিন্তু পূর্বঘাট পর্বতমালার অপর নাম মলয়াদ্রি।


সর্বোচ্চ শৃঙ্গঃ- পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম আনাইমুদি। তবে পূর্বঘাট পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম আরমাকোন্ডা।


গড় উচ্চতাঃ- পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উচ্চতা 1000 মিটারেরও বেশি। কিন্তু পূর্বঘাট পর্বতমালার গড় উচ্চতা 450 থেকে 600 মিটার।



৫. ছোটনাগপুর মালভূমির ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?

উঃ- ছোটনাগপুর মালভূমির অবস্থানঃ- মধ্য ভারতের মালভূমি ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ নিয়ে ছোটনাগপুর মালভূমি গঠিত।


ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যঃ- ছোটনাগপুর মালভূমির ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য গুলি হল- 

(i) এটি আর্কিয়ান যুগের গ্রানাইট ও নিস শিলা দ্বারা গঠিত। রাচি, হাজারীবাগ, কোডার্মা- এই তিনটি প্রধান মালভূমির সমন্বয়ে এই মালভূমি গঠিত।


(ii) মালভূমিটি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢালু।


(iii) এখানকার প্রধান প্রধান পাহাড়গুলি হল পরেশনাথ, রাজমহল, শুশুনিয়া, বিহারীনাথ, অযোধ্যা, মামা-ভাগ্নে ইত্যাদি।


(iv) এই মালভূমি পূর্বদিকে রাঢ় অঞ্চলের সাথে মিশেছে।


মাধ্যমিক আঞ্চলিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর               মান-5


১. দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয়ের শ্রেণীবিভাগ করে পশ্চিম হিমালয়ের ভূ প্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

অথবা 

পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

                               -- উত্তর --


 পশ্চিম হিমালয়- নাঙ্গা পর্বত থেকে নেপালের কালী নদী পর্যন্ত হিমালয়ের অংশ পশ্চিম হিমালয় নামে পরিচিত। এই অংশ জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত। দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয় কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (i) পশ্চিম হিমালয় (ii) মধ্য হিমালয় (iii ) পূর্ব হিমালয়। আবার অবস্থান ও ভূ প্রকৃতি অনুযায়ী পশ্চিম হিমালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা-


কাশ্মীর হিমালয়- জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় 3.5 লক্ষ বর্গ কিমি স্থান জুড়ে রয়েছে কাশ্মীর হিমালয়। এর গড় উচ্চতা 2000 মিটার। এই হিমালয়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো-

প্রথমতঃ- কাশ্মীর হিমালয়ের দক্ষিণ থেকে উত্তরে পরপর পাঁচটি পর্বতশ্রেণী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে বিস্তারিত। যেমন- শিবালিকের জম্মু ও পঞ্চ পাহাড়, পিরপাঞ্জাল পর্বত, হিমাদ্রি হিমালয় ও জাস্কার পর্বত, লাদাখ পর্বত।

 দ্বিতীয়তঃ-  পশ্চিম হিমালয়ে বিভিন্ন হিমবাহ,  হ্রদ ও গিরিপথ দেখা যায় । যেমন- কাশ্মীর উপত্যকার উলার হ্রদ, ডাল হ্রদ।  এখানকার উল্লেখযোগ্য গিরিপথ হল- বানিহাল, পিরপাঞ্জাল,  জোজিলা প্রভৃতি।


হিমাচল হিমালয়ঃ- পশ্চিম হিমালয়ের অন্যতম শ্রেণী হল হিমাচল হিমালয়। এটি হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাবের কিছু অংশ নিয়ে 64000 বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তারিত। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

 প্রথমতঃ-  হিমাচল হিমালয়ের গড় উচ্চতা 3500 থেকে 4500 মিটার।

দ্বিতীয়ঃ- হিমাচল হিমালয়ে অনেক পর্বতশ্রেণী দেখা যায়। যেমন- ধাউলাধার, পিরপাঞ্জাল, মুসৌরি নাগটিব্বা  প্রভৃতি।

 তৃতীয়ঃ-  এই হিমালয়ে অনেক উপত্যকা ও গিরিপথ দেখা যায়। যেমন- কুলু কাংড়া উপত্যকা ও রোটাং গিরিপথ।


কুমায়ুন হিমালয়ঃ- উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রায় 46000 বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত হিমালয়ের অংশ কুমায়ুন হিমালয় নামে পরিচিত। এই হিমালয়ের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

প্রথমত- এই হিমালয়ের দক্ষিনে উচ্চতা 600 মিটার কিন্তু উত্তরে গড় উচ্চতা 6000 এর বেশি।

দ্বিতীয়ঃ- এই হিমালয়ে অনেক পর্বতশ্রেণী দেখা যায়। যেমন- নন্দাদেবী, কেদারনাথ, কামেট, গঙ্গোত্রী, ত্রিশূল প্রভৃতি।

 তৃতীয়ঃ-  এই অংশে বেশকছু উপত্যকা, পর্বত শ্রেণী, হিমবাহ  দেখা যায়। যেমন- দেরাদুন উপত্যকা, নৈনিতাল? ভীমতাল হ্রদ ও মানা, মিলাম প্রভৃতি হিমবাহ ।


মানব জীবনের উপর হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের প্রভাব আলোচনা করো।

অথবা

 ভারতের জনজীবনে হিমালয় এর গুরুত্ব আলোচনা করো।

                           ---- উত্তর-----

মানব জীবনের ওপর হিমালয়ের প্রভাবঃ- ভারতের উত্তরে ধনুকের মতো আকৃতি বিশিষ্ট হিমালয় পর্বত দেশের জনজীবনের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। যেমন-


জলবায়ুর উপর প্রভাব - ভারতের উত্তরভাগ জুড়ে প্রাচীরের মতো অবস্থান করে মধ্য এশিয়া থেকে আগত শীতল বায়ুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে। এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু হিমালয়ে বাধা পায় বলেই ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে।


নদ নদীর উপর প্রভাবঃ- হিমালয়ের বরফে ঢাকা শৃঙ্গগুলি থেকে বহু নদী উৎপন্ন হয়ে ভারতে বিস্তারিত হয়েছে। এগুলি বরফ গলা জল ও বৃষ্টির জলে পুষ্ট। তাই সারা বছর নদীগুলিতে জল থাকে।


কৃষিকাজঃ- হিমালয়ের বহ অংশে ধাপ কেটে ধান, মশলা,  চাষ করা হয়। এছাড়াও ফল, চা, মসলা ও ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করা হয়।

পশুপালনঃ-  হিমালয়ের বিভিন্ন পার্বত্য উপত্যকায় তৃণভূমি সৃষ্টি হয়েছে। এই তৃণভূমিগুলিতে ছাগল, মোষ, ভেড়া ইত্যাদি পালিত হয় । এদের লোম থেকে পশম উৎপন্ন হয়।


শিল্প - হিমালয় অঞ্চলে বহ শিল্প গড়ে উঠেছে।যেমন- চা শিল্প, মসলা শিল্প , পশম শিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি। আবার হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অধিক হওয়ায় বহ পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। যেমন কাশ্মীর, কুলু, মানালি, দার্জিলিং, সিমলা, গ্যাংটক প্রভৃতি।


তীর্থস্থানঃ- হিমালয়ের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন তীর্থস্থান গড়ে উঠেছে। যেমন- অমরনাথ, কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, বৈষ্ণোদেবী, গঙ্গোত্রী প্রভৃতি। যেগুলি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।


 খনিজ সম্পদঃ- সমগ্র হিমালয় অঞ্চলে কয়লা, খনিজ তেল, তামা, চুনাপাথর প্রভৃতি খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ। অদূর ভবিষ্যতে এগুলি শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা মেটাবে।


অন্যান্যঃ-  এছাড়াও হিমালয় প্রাচীরের মতো অবস্থান করে বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে, হিমালয়ের নদী গুলি থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, বহু বনজ সম্পদ পাওয়া যায় প্রকৃতি। তাই হিমালয়ের গুরুত্ব ভারতের জনজীবনের উপর অপরিসীম।


আরো পড়ো-

প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর পেতে CLICK HERE 






Post a Comment

2 Comments

  1. Sir class 12 geography note chai

    ReplyDelete
    Replies
    1. খুব শীঘ্রই আপলোড করা হবে।

      Delete