প্রেষণা কাকে বলে? শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেষণার গুরুত্ব আলোচনা করো। প্রথম অধ্যায়ঃ শিখন

 পড়াশুনা- উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ঃ শিখন থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নঃ প্রেষণা কাকে বলে ?শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেষণার গুরুত্ব আলোচনা করো। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।এটি প্রায় পরীক্ষায় আসে। তাই তোমরা প্রশ্নের উত্তরটি তিন চার বার পড়ে বিষয়টি আয়ত্ত করার চেষ্টা করবে। 

᪄ রচনাধর্মী প্রশ্ন লেখার অনুশীলন করলে তোমাদের প্রস্তুতি আরো ভালো হবে। শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায়ঃ থেকে চার -পাঁচটি বড় প্রশ্ন পড়লেই প্রস্তুতি অনেকটা হয়ে যাবে। আজকের আলোচ্য প্রশ্নের উত্তর তোমরা DOWNLOAD করে রাখতে পারবে। 


Q- প্রেষণা কাকে বলে ?শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা বা গুরুত্ব আলোচনা করো। 

ANS- প্রেষণাঃ- ইংরেজি শব্দ মোটিভেশন- এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো- প্রেষণা। এই MOTIVATION শব্দটি  আবার ল্যাটিন শব্দ MOVEERS- থেকে এসেছে।  এর অর্থ হলো MOVE বা চলা।বিভিন্ন শিক্ষাবিদ  বিভিন্নভাবে প্রেষণার সঙ্গা দিয়েছেন। যেমন-সুইফট বলেছেন - ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের চাহিদা পরিতৃপ্তির জন্য যে পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়ায় তার আচরণ ধরাকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে প্রেষণা বলে। আবার মনোবিদ উডওয়ার্থ  বলেছেন যে - প্রেষণা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো লক্ষ্য পূরণ ও আচরণ পূরণ করার জন্য ব্যাক্তি উদ্বুদ্ধ হয়।  তবে তাদের সংজ্ঞাগুলোর  ভিত্তিতে বলা যেতে পারে যে- প্রেষণা  হল একপ্রকার তাড়নার  অনুভূতি যা ব্যক্তিকে কাজ করতে বাধ্য করে।


শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকাঃ- শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেষণার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।  যেমন -


শিখনে সহায়তাঃ- বর্তমানে সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীর শিখন এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই বিভিন্ন বিষয় শেখার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রেষণা সৃষ্টি করতে হবে। তবেই  সে প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জন করে ভবিষ্যতে নির্ভরশীল হতে পারবে।

লক্ষ্য নির্ধারণঃ- শিক্ষার্থীদের বয়স, মানসিক সামর্থ অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রেষণা সৃষ্টি করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।

পাঠ্যক্রম নির্ধারণঃ- শিক্ষার্থীদের জন্য যে পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়।  তা মানসিক সামর্থ অনুযায়ী শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হয় যদি তা আকর্ষণীয় হয়।  এ কারণে বয়স অনুযায়ী পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করা হয়।

পুরস্কারের ব্যবস্থাঃ- শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টি করার জন্য শিক্ষক মহাশয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন। যেমন প্রশংসাসূচক বাক্য- ভালো, খুব ভালো, দারুণ প্রভৃতি।


সাফল্য লাভঃ- যদি শিক্ষার্থীরা কোন কাজে সাফল্য পায় তা হলে  শিখনের প্রতি প্রেষণা জাগ্রত হয়।  এ কারণে মনোবিদ ব্রাউন বলেছেন বিদ্যালয়ের কাজকর্ম পর্যাপ্তভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়া উচিত।  তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার ক্ষমতা অনুযায়ী সফল হতে পারে।

অভাব দূরঃ- যদি কোনো শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে দুর্বল হয় বা ঘাটতি লক্ষ করা যায় তাহলে শিক্ষক-শিক্ষিকা সেই বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীর প্রেষণা জাগ্রত করে।  ফলে শিক্ষার্থী সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠে।

মূল্যায়নের ব্যবস্থাঃ- বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন এর ব্যবস্থা করলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুল বা দুর্বলতা সংশোধনের সুযোগ পায়।  এই কারণে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর ব্যবস্থা করা হয়।

অন্যান্য গুরুত্বঃ- প্রেষণা সৃষ্টি না হলে কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে ও পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক হবে না।  শিক্ষকদের পোড়ানোর কাজে, বিষয় নির্বাচন, রুটিন তৈরিতে সাহায্য করে। তেমনি আবার  বিদ্যালয়এর অন্যান্য কাজএ  শিক্ষার্থীদের প্রেষণা জাগ্রত করতে হয়।  তা না হলে সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।


Read More.......


প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত কোঠারি কমিশনের সুপারিশগুলি আলোচনা। 


উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশান ২০২২


মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের MCQ & SAQ


উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফাইনাল রুটিন ২০২২

Post a Comment

0 Comments