সেকালে ঘন ঘন সাকা হত|| অলৌকিক রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ||উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

 ParaSuna:- উচ্চমাধ্যমিকের ভারতীয় গল্প অলৌকিক  থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে পাঁচ নম্বরের। কেউ যদি আন্তর্জাতিক কবিতাঃ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন থেকে উত্তর করতে না চায়, তাহলে শুধুমাত্র অলৌকিক গল্পের সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তঘরগুলি পড়লেই উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যাবে। আজকে আলোচনা করা হলো- সেকালে ঘন ঘন সাকা হত-সাকা কী? কোথায় সাকা হয়েছিল? এর ফল কী হয়েছিল? 

■ বিগত বছরগুলোতে এসেছিল ও নামকরা বিভিন্ন হাই স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্নটি।তাই  কমবেশি 150 ওয়ার্ডের মধ্যে  উত্তরটি দেওয়া হয়েছে।


1- "সেকালে ঘনঘন 'সাকা' হত।"- কোথায় শাখা হয়েছিল? এর ফলাফল কী হয়েছিল?             


সাকার স্থান:- কর্তার সিং দুগ্গালের রচিত 'অলৌকিক' গল্পে উল্লেখিত সাকা ঘনঘন অনুষ্ঠিত হতো হাসান আব্দালের জঙ্গলের যার নাম হয় পরবর্তীতে পাঞ্জা সাহেবে। বর্তমানে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির অন্তর্গত পাঞ্জা সাহেব ।

সাকা:- সাকা হলো শিখ ধর্মের মানুষের ধর্ম বা জাতির সম্মান রক্ষার জন্য আত্ম বলিদান। কোথাও সাকা হলে কথকদের বাড়িতে অরন্ধন হত আর রাতে মেঝেতে শুতে হতো। 

সাকার ফলঃ- কোথাও সাকা হলে কথকের মা রুটি, পায়েস ও যাবতীয় দ্রব্যে নিয়ে হাজির হতেন সেখানে।সেবার পাঞ্জ সাহেবের সাকায় কথক তার মা ও বোনের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌছে এক আশ্চর্য গল্প শোনেন। পরাধীন ভারতে ফিরিঙ্গিরা ভারতীয়দের উপর গুলি চালায়। ফলে অনেকে মারা যায় ও অনেকে আহত হয়। আহতদের বন্দি করে তারা জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যে ট্রেনে তাদের পাঠানো হবে,সেই ট্রেন পাঞ্জা সাহেবের উপর দিয়ে যাবে তথচ দাঁড়াবে না। কারণ ইংরেজ সরকারের কড়া হুকুম যে কোথাও ট্রেন থামানো যাবে না। এ খবরে পাঞ্জা সাহেবের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে।তাঁরা ট্রেন থামানোর জন্য বদ্ধপরিকর ।তাই স্টেশন মাস্টারের কাছে মেল, টেলিগ্রাম করে কিন্তু তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। তাই পাঞ্জা সাহেবের লোকজন বাড়ি থেকে রুটি,পায়েস, লুচি তৈরি করে পৌচ্ছে যায় স্টেশনে। সেগুলো এক জায়গায় ডাই করে রাখে। ট্রেন হুইশেল দিতে দিতে ঝড়ের গতিতে ছুটি আসে। এদিকে ট্রেন থামবে না দেখে নারী,পুরুষ ও শিশুরা রেল লাইনে শুয়ে পড়ে। অবশেষে জীবনের বিনিময়ে ট্রেন থামান পাঞ্জা সাহেবের লোকজন।


■  পাঞ্জা সাহেবে যে সাকা হয়েছিল, তারফল হয়েছিল দু'প্রকার। প্রথমত- এই সাকার ঘটনায় গুরু নানকের মতাবলম্বী মানুষের মনোবল, আত্মত্যাগ ও সুগভীর জাতীয়তাবোধের পরিচয় মেলে । এই সাকার ফলে চলন্ত ট্রেনের গতি রোধ করার মাধ্যমে এক বিস্ময়কর অলৌকিক মুহূর্তে সৃষ্টি হয়েছিল । দ্বিতীয়তঃ লেখকেরও গুরু নানকের হাতের ছোঁয়ায় পতনশীল পাথর থামানোর ঘটনা সম্পর্কে যে অবিশ্বাস ছিল তা সম্পূর্ণ কেটে যায়। মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।এই ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছিল।

 

আরো পড়ো.....






Post a Comment

0 Comments