মহুয়ার দেশ কবিতার প্রশ্ন উত্তর || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

মহুয়ার দেশ কবিতার প্রশ্ন উত্তর || উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

 পড়াশোনাঃ- উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্য মহুয়ার দেশ , মহুয়ার  দেশ কবিতার সারাংশ, মহুয়ার দেশ কবিতার প্রশ্ন উত্তর, মহুয়ার দেশ কবিতার mcq & saq , মহুয়ার দেশ কবিতার mcq , মহুয়ার দেশ কবিতার saq , মহুয়ার দেশ pdf , মহুয়ার দেশ কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর , মহুয়ার দেশ কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2022, মহুয়ার দেশ কবিতার রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর প্রভৃতি আলোচনা করা হলো। 

■ মহুয়ার দেশ কবিতা থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও একটি রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে । তাই কবিতাটি ভালোভাবে পড়ার পর আমাদের দেওয়া  ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন ও উত্তর পড়বে। এতে অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হবে। 

কবিতা মহুয়ার দেশ 
শ্রেণীদ্বাদশ 
বোর্ড পঃবঃউঃমঃশিঃপঃ
MCQ25 টি 
SAQ15 টি
LAQ2 টি


উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা কবিতা মহুয়ার দেশ থেকে বাছাই করা MCQ 




'মহুয়ার দেশ' কবিতায় কয়টি গাছের উল্লেখ আছে ?
Ans : ২টি 

1. 'ধোঁয়ায় বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে'-কিসের মতো ?
Ans : শীতের দুঃস্বপ্নের মতো। 

2.অবসন্ন মানুষের শরীরে কবি কী দেখেছিলেন ?
Ans : ধূলোর কলঙ্ক 

3. মহুয়ার দেশের মানুষের চোখ কীরূপ ছিল?
Ans: ঘুমহীন 

4. 'মহুয়ার দেশ' কবিতায় রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে কে আলোড়িত করেছিলেন ?
Ans : সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস 

5. 'অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধূলোর কলঙ্ক'- কবি কোন  সময়ে দেখেছিলেন?
Ans : সকালে 

6.'মহুয়ার দেশ' কবিতায় কয়লা খনি কোথায় অবস্থিত ?
Ans : মহুয়া বনের ধারে 

7.মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় জলস্রোতে উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ কে এঁকে দেয় ?
Ans : অলস সূর্য 

8. 'আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক '- কবি কী ঝরে পড়ার প্রার্থনা করেছেন?
Ans : মহুয়া ফুল

9. সমস্তক্ষণ পথের দুধারে করা ছায়া ফেলে ?
Ans : দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য 

10. 'মহুয়ার দেশ ' কবিতায় কবি কোথাকার নিস্বর্গ প্রকৃতির বর্ণনা করেছেন ?
Ans : সাঁওতাল পরগনার 

11. 'আর আগুন লাগে '- কোথায় আগুন লাগে ? 
Ans : জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় 

12. উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ কীসের মতো?
Ans : গলিত সোনার মতো 

13. 'মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ ' -  মদির শব্দের অর্থ কী ?
Ans : মত্ত বা আচ্ছন্ন 

14. মহুয়ার দেশের অন্ধকার কেমন ছিল ?
Ans : নিবিড় 

15. 'ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয় '- কী ?
Ans : ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন 

16. অলস সূর্য ছবি আঁকে কোথায় ?
Ans : সন্ধ্যার জলস্রোতে 

17. সমর সেনের প্রথম কবিতা কোনটি ?
Ans : 'তুমি ও আমি '

18. কয়েকটি কবিতা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'মহুয়ার দেশ' কবে রচয়িত হয় ?
Ans : ১৯৩৭ সালে 

19. 'মহুয়ার দেশ ' কবিতাটি কয়টি স্তবকে বিভক্ত ?
Ans : দুটি স্তবকে 


20. সমর সেনের জন্ম হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?
Ans : ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে 

21. সমর সেন কার দৌহিত্র ছিলেন ?
Ans : দীনেশচন্দ্র সেন 

22. 'মহুয়ার দেশ' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ?
Ans : কয়েকটি কবিতা 

23. 'ঘুরে ফিরে ঘরে আসে'- কী ঘুরে ফিরে ঘরে আসে ?
Ans : ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস 

24. 'ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে '- কীসের মতো?
Ans : শীতের দুঃস্বপ্নের মতো 

25. দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে কী করে ?
Ans : আলোড়িত 

26. মহুয়া বনের ধারে কী আছে ?
Ans : কয়লা খনি 

27. শিশিরে ভেজা সবুজ কী  ?
Ans : সকল 

28. 'অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক '- কবি কখন অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখেন ?

Ans : শিশির-ভেজা সকালে 


উচ্চমাধ্যমিক কবিতা মহুয়ার দেশ থেকে বাছাই করা SAQ


 

1. 'মহুয়া' শব্দের অর্থ কী ?
Ans :   'মহুয়ার দেশ' কবিতায় কবি মহুয়া বলতে মউল ফুলের কথা বলেছেন। যার রস থেকে মাদক তৈরী হয়। 

2. 'অলস সূর্য দেয় এঁকে '- অলস সূর্য কী  এঁকে দেয় ?
Ans :    সমর সেনের 'মহুয়ার দেশ ' কবিতায় অলস সূর্য সন্ধ্যের জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়। 

3. 'ধোঁয়ায় বঙ্কিম নিশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে '- ধোয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 
Ans :     'মহুয়ার দেশ' কবিতায় কবি সমর সেন ধোঁয়ায় বঙ্কিম নিশ্বাস বলতে নগরের দূষিত , ক্লান্তিকর ও যন্ত্রনাময় জীবনকে বুঝিয়েছেন। 

4. 'নামুক মহুয়ার গন্ধ ' - কবি কেন এই প্রার্থনা করেছেন ?
Ans :    কবি সমর সেন নাগরিক জীবনের ক্লান্তি মোচনের জন্য মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার প্রার্থনা করেছেন।  

5. 'ধূলোর কলঙ্ক ' -বলতে কবি কী  বুঝিয়েছেন ? 
Ans :   'মহুয়ার দেশ 'কবিতায় কবি ধূলোর কলঙ্ক বলতে শ্রমিক শ্রেণীর অপমানিত ,লাঞ্ছিত ও সম্মানহীন  জীবন যাত্রাকে বুঝিয়েছেন। 

6. কয়লা খনির শব্দ কীরূপ ছিল ? 
Ans :   মহুয়া বনের ধারে অবস্থিত কয়লা খনির শব্দ গভীর ও বিশাল ছিল। 

7. কবি কাকে শীতের দুঃস্বপ্ন বলেছেন ?
Ans :    কবি সমর সেন 'মহুয়ার দেশ' কবিতায় নাগরিক জীবনের যন্ত্রনা তথা ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাসকে শীতের দুঃস্বপ্ন বলেছেন।  

8. 'ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয় '- তাদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 
Ans :    'মহুয়ার দেশ ' কবিতায় 'তাদের' বলতে  কয়লা খনির অবসন্ন শ্রমজীবী মানুষদের কথা বলা হয়েছে।  

9. 'সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে '- সেখানে বলতে কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে ?
Ans :     'মহুয়ার দেশ'কবিতাংশে 'সেখানে'বলতে অনেক অনেক দূরে থাকা মেঘমদির মহুয়ার দেশকে বোঝানো হয়েছে।  

10. অলস সূর্য বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
Ans :      'মহুয়ার দেশ'কবিতায় কবি সমর সেন বিকেলের ক্লান্ত সূর্যকে ব্যঞ্জনা করে অলস সূর্য বলেছেন। 

11. 'সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে '- পথের দুধারে কোন গাছ ছায়া ফেলে ?
Ans : পথের দুধারে দেবদারু গাছ ছায়া ফেলে। 

12. 'রাত্রির নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। '- কে রাত্রির নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে ?
Ans :  দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। 

13. রাত্রির নির্জন নিঃসঙ্গতা কীভাবে আলোড়িত হয় ?
Ans : দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাসের দ্বারা রাত্রের বা=নির্জন নিঃসঙ্গতা আলোড়িত হয়। 

14. 'আমার  ক্লান্তির উপরে ঝরুক '- কোন ফুলের ঝরে পড়ার কামনা করা হয়েছে ?
Ans : মহুয়া ফুলের ঝরে পরার কামনা করা হয়েছে। 

15. 'নামুক মহুয়ার গন্ধ। '-  কবির এই প্রার্থনা কেন ?
Ans : কবি ক্লান্ত।,তাই তিঁনি তার ক্লান্তির উপর মহুয়ার গন্ধ নেমে আসার প্রার্থনা করেছেন। 

16. কবি নিজের ক্লান্তির উপর কী ঝরে পরা ও কী নামার কথা বলেছেন?
Ans : কবি নিজের ক্লান্তির উপর মহুয়ার ফুল ঝরে পড়া ও মহুয়ার ফুলের গন্ধ নেমে আসার কথা বলেছেন।  





উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা কবিতা মহুয়ার দেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর 



'ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে / শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।'- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। 

Ans : সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়িত্ব : আলোচ্য উক্তিটি নাগরিক কবি সমর সেনের 'কয়েকটি কবিতা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'মহুয়ার দেশ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।  কবি আলোচ্য কবিতায় প্রথম পর্বে শহর সভ্যতার দূষণপূর্ণ পরিবেশে অস্তগামী সূর্যের স্বর্ণালী আলোয় রচিত বঙ্গপ্রকৃতির সন্ধ্যাকালীন সৌন্দর্যকে ক্ষণস্থায়ী বোঝাতে আলোচ্য উক্তিটি অবতারণা করেছেন। 



কবির মুক্তি কামনা : কবি আলোচ্য কবিতায় দেখিয়েছেন অস্তগামী সূর্যের স্বর্ণালী আলোর তির্যক আভায় যখন জলতলে নির্মিত হয় 'উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ', আর সেই আলোয় যখন জলের উপর ভাসমান ফেনায় লাগিয়ে দে আগুন রং ; তখন কবির মন মুগ্ধ হয়ে যায় শহরের এই সন্ধ্যার স্নিগ্ধ পরিবেশে। কিন্তু এই স্নিগ্ধতা বেশিক্ষন স্থায়ী হতে পারে না। প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য নিমেষেই ঢাকা পরে যায় প্রগতির বিলাসিতার কারণে তথা দূষণে। তাই 'ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস' কবির চেতনাকে চারপাশ থেকে চেপে ধরে , কবির মুগ্ধ দৃষ্টিকে অনাবিল করে দেয়।  শিল্প-সভ্যতার দাপটে আপাত নিরীহ শীতের ঘুমের মতো নাগরিক সন্ধ্যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবিমনে হানা দেয় দূষণ ,দুঃস্বপ্নের মতো।  নাগরিক বহমান জীবন থেকে লড়াই করতে করতে যে শান্তির খোঁজ কবিমন করেছিল , তা সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কবির কাব্য ক্যানভাসে জমা হয় বিষাদ আল্পনা।  শহরের অনিয়ন্ত্রিত দূষণ কবিকে মুক্তিকামী করে তোলে, কবির স্বপ্নের স্বচ্ছ শহর ঢাকা পড়ে যায় দুঃস্বপ্নের ধোঁয়াশায়। 




'অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ ,'- কবির দেখা মহুয়ার দেশটি কেমন তা কবিতা অবলম্বনে বর্ণনা করো। 

Ans :  কবির কাম্য-দূষণমুক্ত পরিবেশ :  'কয়েকটি কবিতা'কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'মহুয়ার দেশ' কবিতাটি কবি সমর সেনের অধিকাংশ কবিতার মেজাজ থেকে অনেকটা আলাদা। নগরজীবনের একঘেয়েমি ও ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে কবির মন যে মহুয়ার দেশে আশ্রয় খুঁজেছে ,সে দেশ অনাবিল পরিচ্ছন্নতার স্বর্গরাজ্য। অনেক দূরের সেই 'মেঘ-মদির' মহুয়ার দেশ কবির কাছে চির আকর্ষণীয়। সেখানে ' দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য ' 'পথের দুধারে ছায়া ফেলে' 'সমস্তক্ষণ'। সেখানে 'দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস' 'রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে'। দূষণমুক্ত প্রকৃতির এই স্নেহময় আবেশ ক্লান্ত ও অবসন্ন শহুরে কবির কাছে তাই কাঙ্ক্ষিত হয়ে দাঁড়ায়। 


প্রাকৃতিলগ্ন জীবন : কালের পরিবর্তনের সঙ্গে কবির সেই পরমাকাঙ্ক্ষিত মহুয়ার দেশের ওপর নেমে আসে ধনতন্ত্রের থাবা। প্রগতির হিংস্রতা থেকে রক্ষা পায় না উদার,উন্মুক্ত প্রকৃতি।  মহুয়ার দেশেও 'নিবিড় অন্ধকারে ' শোনা যায় বেমানান কয়লা খনির 'গভীর ,বিশাল শব্দ'। নাগরিক জীবনের দূষিত ক্লান্তির মতোই কবির কাছে সে 'শব্দ' অসহ্য ঠেকে।  জীবনযন্ত্রণা ,জীবনযাপনের ক্লান্তি এসমস্ত কিছুই আসলে কোনো নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমায় আবদ্ধ নয়।  তাই মহুয়ার দেশের 'শিশির-ভেজা সবুজ সকালে'-ও মানুষের শরীরে থেকে 'ধুলোর কলঙ্ক'। মহুয়ার দেশকে খুব কাছ থেকে দেখে কবি উপলব্ধি করেন সেখানকার প্রাকৃতিলগ্ন জীবনে ক্লান্তহীন একমাত্রিক পরিতৃপ্তি ছাড়াও রয়েছে পুঁজিবাদী সভ্যতার আগ্রাসন এবং মানবিক সত্তার  অবক্ষয়। প্রগতির কাছে প্রকৃতির এই অসহায় আত্মসমর্পন প্রতিষ্ঠতা করে মহুয়ার দেশে বেঁচে থাকতে পারে কবির স্বপ্নে আর সত্তায়। 
 




আরও  পড়ো :লিঙ্ক 
রূপনারানের কূলে কবিতার রচণাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর CLICK HERE 
আমি দেখি কবিতার ছোটো ও বড় প্রশ্ন উত্তর CLICK HERE
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর CLICK HERE 
নানা রঙের দিন ছোটো ও বড় প্রশ্ন ও উত্তর CLICK HERE 

Post a Comment

0 Comments