1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ গুলি লেখো || দ্বাদশ শ্রেণী

 

জাতীয় শিক্ষানীতি (1986):- দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান দশম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ঃ থেকে একটি সম্ভাব্য রচনাধর্মী প্রশ্ন - "1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ গুলি লেখো "  দেওয়া হলো। এই অধ্যায়ঃ থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন যেমন আসে তেমনি আবার বড়ো প্রশ্নও আসে। তাই নৈব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর পড়ার পাশাপাশি রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরও পড়তে হবে। তোমরা যাতে কম পরিশ্রমে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাস করতে পারো তার জন্য আমাদের এই চেষ্টা। তোমাদের সাফল্যই আমাদের পরিচয়। 


অমিক্রনের প্রভাবে পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো তা ইতিমধ্যেই বোর্ড ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। সুতরাং আমাদের হাতে সময় খুবই কম। তাই দেরি না করে আজই  এখনই পড়াশোনা শুরু করে দাও। 





 প্রশ্নঃ- 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির মূল সুপারিশগুলি  আলোচনা করো।


                                উত্তরঃ 


ভূমিকাঃ- জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 গঠিত হয় শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করে তাদের সামগ্রিক বিকাশে সহায়তা করার জন্য। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত ও সংখ্যাগত দিকের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষানীতির পঞ্চম অধ্যায়ে উচ্চ শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে । তাতে শুধুমাত্র গুনগতমান বজায় রাখার উপর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) এর মূল সুপারিশঃ- জাতীয় শিক্ষানীতি সব ধরনের শিক্ষার জন্য যে সুপারিশ গুলি করেছিল সেগুলি হল-


উচ্চ শিক্ষার ব্যয় বহনঃ- জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয় যে, শিক্ষার ব্যয় বহনের জন্য সরকার এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।


দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিঃ- জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত মানের জাতীয় শিক্ষা প্রদানের সুপারিশ করা হয়।  যাতে তারা ভবিষ্যতে যেকোনো সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে।


জীবনব্যাপী শিক্ষাঃ- জাতীয় শিক্ষানীতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হল জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদান করা। এই শিক্ষা সার্থক হলে সর্বজনীন সাক্ষরতা সম্ভব হবে ও প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।


পারদর্শিতার মাপকাঠিঃ- জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে কমপক্ষে কতটুকু পারদর্শিতা অর্জন করলে তাকে শিক্ষিত বলে বিবেচনা করা হবে তাও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।


জাতীয় সংস্থার উপর গুরুত্ব আরোপঃ- জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষাকে কার্যকরী রূপ দেওয়ার জন্য কতগুলি জাতীয় সংস্থার সুপারিশ করা হয় ।যেমন- NCERT, NCTE,AICTE প্রভৃতি।


আবশ্যিক পাঠ্যক্রমঃ- জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এমন একটি জাতীয় আবশ্যিক পাঠ্যক্রম থাকবে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগসুত্র স্থাপন করতে পারবে এবং আগামী দিনে তার নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হবে।


গবেষণা ও বিকাশঃ- জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চতর গবেষণার সুপারিশ সুপারি করা হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে এমন পরিবেশ রচনা করতে হবে যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষিত হয় এবং নিজেদের মধ্যে তথ্য ও সম্পদ আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের ধারা বজায় থাকে।


উচ্চশিক্ষা ও টেকনিক্যাল শিক্ষাঃ-  জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষা ও টেকনিক্যাল শিক্ষারও সুপারিশ করা হয়। এই শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।


অন্যান্য সুপারিশঃ-  এছাড়াও জাতীয় শিক্ষানীতিতে আরো বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়। যেমন- শিক্ষায় সমসুযোগ, নারী শিক্ষা, শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ, শিখন উপকরণ, শিক্ষার পুনর্গঠন, শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন প্রভৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিল। এইসকল সুপারিশ বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী। তবে বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষাব্যবস্থার আরো আধুনিকীকরণ প্রয়োজন।


আরো পড়ো...


উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন2022


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান এর তৃতীয় অধ্যায় MCQ & SAQ 


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান এর পঞ্চম অধ্যায়MCQ AND SAQ 


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান এর অষ্টম অধ্যায় জাতীয় শিক্ষানীতি MCQ AND SAQ 


মনোযোগ কাকে বলে শিক্ষাক্ষেত্রে মনোযোগের ভূমিকা আলোচনা করো।


প্রেষণা কাকে বলে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেষণার গুরুত্ব আলোচনা করো।




Post a Comment

1 Comments