এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও|| উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান

 পড়াশোনা:-দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ষষ্ঠ অধ্যায়-'সরকারের বিভিন্ন বিভাগ সমূহ '- থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাছাই করা প্রশ্ন "এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও," আলোচনা করা হলো। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রশ্নটি সাজানো হয়েছে। তবে প্রতি বছরের জন্য এই প্রশ্ন উত্তরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

■ এবছরের পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ রচণাধর্মী প্রশ্নটি দেওয়া হলো। যেহেতু প্রশ্নের মান 8 তাই মাত্র 8টি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরের PDF দেওয়া হলো। বার্ষিক পরীক্ষায় 99% সম্ভাবনা আসার। 

বিষয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান 
অধ্যায় ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ  । 
প্রশ্নের ধরণরচণাধর্মী ।
প্রশ্ন সংখ্যা  একটি। 
প্রশ্নের মান  ৮ 

 

 প্রশ্ন:-  এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও।

                             -  উত্তর -


এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা:-একটিমাত্র কক্ষ নিয়ে গঠিত আইনসভাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলা হয়। শাসন ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি বা দলের উপর শাসন বিভাগের সমস্ত ক্ষমতা অর্পিত থাকে। এরূপ এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার একটিমাত্র কক্ষের মাধ্যমে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইনসভার যাবতীয় কাজকর্ম করেন। বর্তমানে ১১২টি রাষ্ট্রের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট। যেমন:- চীন, বাংলাদেশ , গ্রিস প্রভৃতি।

এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে যুক্তি:- এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বেন্থাম, অ্যাবেসি, লাস্কি,  খাঙ্কলিং প্রমুখেরা। তাদের যুক্তিগুলি হল-


গণতন্ত্র সম্মত:- এরূপ আইনসভায় ব্যক্তিগত বা শ্রেণীগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই এই আইনসভার একটিমাত্র কক্ষকে পাঠকের জনপ্রিয় কক্ষ এবং গণতন্ত্র সম্মত কক্ষ বলা হয়।

কক দায়িত্ব: এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একটিমাত্র কক্ষ থাকায় কাজের দায়িত্ব অপর কোনো কক্ষের উপর ন্যস্ত থাকে না। তাই কর্মসূচি গ্রহণ ও রূপায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা যায় না এরূপ আইন সভায়।


যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপযোগী:- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রধান বিবেচ্য বিষয় হল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমানভাবে ক্ষমতা বন্টন। এই বিষয়টি এক কক্ষবিশিষ্ট আইন সভায় পুরণ হতে পারে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রয়োজন হয় না।


সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন:-এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় সহজেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। কোনো বিলকে অপর কোনো কক্ষে পাঠানোর সুযোগ নেই।


অন্যান্য যুক্তি:- এছাড়াও এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বর্তমান সময়োপযোগী, সহজেই আইন পরিবর্তন করতে পারে, অল্প খরচ হয়, জনগণের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয় প্রভৃতি।


এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিপক্ষে যুক্তি:-রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লর্ড ব্রাইস, জন স্টুয়ার্ট মিল, লেকি, হেনরি মেইন প্রমুখেরা এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তাদের যুক্তিগুলি হল-


স্বৈরাচারী আইন প্রণয়ন:- এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় ক্ষমতাসীন একক ব্যক্তি বা দল নিজের খেয়াল খুশি মতো আইন তৈরি করে জনগণের উপর দমন- পীড়ন চালাতে পারে, ফলে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে পড়ে।

কাজের চাপ বৃদ্ধি:-বর্তমানে আইনসভার কাজের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। একটিমাত্র কক্ষের উপর অধিক কাজের চাপ পড়ে। এক্ষেত্রে উভয় কক্ষের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করার সুযোগ নেই।

সংখ্যালঘু স্বার্থ উপেক্ষিত:- এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা সুযোগ পায় না। ফলে সংখ্যালঘু সার্থক এই ধরনের আইনসভায় রক্ষিত হয় না কিন্তু দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন সভায় সকল শ্রেণীর মানুষ প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।


উৎকর্ষহীন আইনসভা:-দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় নির্বাচন ছাড়াও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। আইনসভার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এক কক্ষবিশিষ্ট আইন সভায় জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিরা স্থান পান না। ফলে আইনসভা উৎকর্ষহীন হয়ে পড়ে।


অন্যান্য যুক্তি:-এছাড়াও এক পক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় শাসন বিভাগ অসহায়, জনগণের রাজনৈতিক জ্ঞানের বিকাশ হয় না, সংখ্যালঘু স্বার্থ উপেক্ষিত হয়, অবিবেচনামূলক আইন প্রণয়ন করে প্রভৃতি।


আরো পড়ো....

ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ MCQ AND SAQ 


সপ্তম অধ্যায়ঃ ভারতের শাসন বিভাগ MCQ AND SAQ 



File name:- pol.science
Type:- pdf
Size:-24.6 kb
Location:- Google drive

Click here DOWNLOAD 




Post a Comment

1 Comments